1. info@www.tarangotv.com : TV :
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন

অন্তর্বর্তী সরকারকে জামায়াত নেতা বুলবুল কোনো রাজনৈতিক দলের লেজ ধরলে জনগণ বরদাস্ত করবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, অন্য কোনো চিন্তা করে অন্তর্বর্তী সরকারের লাভ হবে না, কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রকে আমরা বরদাস্ত করবো না। জনগণ বাদ আপনারা যদি অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের লেজ ধরেন, আনুগত্য প্রকাশ করেন, তা জনগণ মানবে না। এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, সুতরাং অন্য চিন্তা বাদ দিয়ে জনদাবি মেনে নিয়ে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির মধ্য দিয়েই পিআর পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচনের আয়োজন করুন।

জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে ধারাবাহিক যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে জামায়াতে ইসলামী।

রোববার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেওয়া শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি চলছে। আজ শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়, অন্যান্য সমমনা ইসলামিক রাজনৈতিক দলগুলোও যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি পালন করছে।

তিনি বলেন, পেশকৃত পাঁচ দফা দাবি হচ্ছে জনদাবি, জুলাই শহীদ আহতের দাবি। আমরা বলেছি, পেশকৃত পাঁচ দফা দাবি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি জেলা প্রশাসককে।

বুলবুল বলেন, আমরা বলেছি আগামী বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। এর আগে গণভোট আয়োজনের মাধ্যমে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে।

এই গণভোটের ব্যাপারে একটি দল বাদে অন্য সব রাজনৈতিক দল একমত উল্লেখ করে বুলবুল বলেন, যে দল একমত হয়নি তারা বলেছিল, এটা কি, কেন এখনই প্রয়োজন? নির্বাচিত হয়ে ওনারা নাকি এটা পরে করবেন! যেন তারা আগেই নির্বাচিত হয়ে গেছেন। আমরা বলেছি, অবশ্যই গণভোট দিতে হবে।

বুলবুল বলেন, শেষ পর্যন্ত ওই দল গণভোটে একমত হলেও আরেকটা প্যাঁচ লাগিয়ে দিয়েছে। আমরা আশা করছি ওই প্যাঁচও ছুটে যাবে ইনশাআল্লাহ, কারণ এটা গণদাবি। যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় আছেন, তাদের জনদাবি, জনআকাঙ্খা বুঝতে হবে। নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত আমির বলেন, আমরা রাজপথে ছিলাম, এখনো মাঠে আছি। আমরা ফ্যাসিস্ট শক্তির রক্তচক্ষুকে পরোয়া করিনি। সুতরাং এর বাইরে অন্য কোনো চিন্তা করে লাভ হবে না। অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো চক্রান্ত, ষড়যন্ত্রকে আমরা বরদাস্ত করবো না।

তিনি বলেন, অবশ্যই নির্বাচনের আগেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যৌক্তিকভাবে তা তুলে ধরছি।

যারা গুম করেছেন, খুন করেছেন অবশ্যই তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা মনে করি, ন্যায়বিচার হওয়া উচিত। অপরাধী যেই হোক বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচার প্রক্রিয়াও অবশ্যই ইনসাফপূর্ণ হতে হবে।

বুলবুল বলেন, হাজার বছর টিকে থাকার জন্য যারা গুম, খুন করেছেন, ফ্যাসিস্ট অপশক্তিকে সহযোগিতা করেছেন, মানবতাকে হত্যা করেছেন, যারা শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠার জন্য বার বার পাতানো নাটুকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, শেখ হাসিনার নাটক মঞ্চস্থ করেছেন, অভিনয় করেছিলেন, সেই বাম রাজনৈতিক দল ও জাতীয় পার্টির কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করতে হবে, বিচারের আওতায় আনতে হবে।

আমরা আশা করি, সরকার জনগণের পাল্স বুঝবেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা বুঝবেন, কোনো রাজনৈতিক দলের আকাঙ্খা আনুগত্যকে তোয়াক্কা না করে গণদাবির পাঁচ দফা মেনে নিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করবেন। আমরা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। যেমনি করে মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল তেমনি করে আগামী দিনেই ঐক্যবদ্ধ থাকবে।

উল্লেখ্য, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আন্দোলনের ৫ দফা গণদাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

পাঁচ দফা দাবি–

১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা

২. জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা

৩. অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা

৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম নির্যাতন গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা

৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

জেইউ/বিআরইউ

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট