২৩ জুন অলিম্পিক ডে। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন আজ সকালে অলিম্পিক দিবস উপলক্ষে ডে রান আয়োজন করেছে। র্যালি শেষে জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৬ জন অলিম্পিয়ানকে সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়েছে। ডে রানে গতানুগতিক র্যালি ও অন্য কর্মসূচির বাইরে এবারই প্রথম অলিম্পিয়ানদের সম্মাননা জানাল বিওএ। বিওএ সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান র্যালিতে অংশগ্রহণ ও অলিম্পিয়ানদের সম্মাননা সনদ প্রদান করেন।
বাংলাদেশের অন্যতম কিংবদন্তি শুটার সাইফুল আলম রিংকি। ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্ত চার দশকের বেশি সময়। বিওএ’র এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘অলিম্পিক সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর। অলিম্পিয়ানদের মর্যাদা ও সম্মান অনেক বেশি। বাংলাদেশে অলিম্পিয়ানদের নিভৃতেই থাকতে হয়। অলিম্পিক ডে’তে অলিম্পিয়ানদের সম্মাননা ভালো উদ্যোগ। এতে নতুন প্রজন্ম অলিম্পিয়ানদের সম্পর্কে জানার সুযোগ পায় ও অলিম্পিয়ানরাও গর্বিত হয়।’
১৯৮৬ সাল থেকে বাংলাদেশ অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে। সাবেক দ্রুততম মানব সাইদুর রহমান ডন সেই অলিম্পিকে একমাত্র বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক ক্রীড়াবিদ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসরে অংশগ্রহণ করেছেন। ডন, বিমল চন্দ্র, দিয়া, রোমানের মতো অনেকে প্রবাস জীবন বেছে নিয়েছেন। শুটার আতিক দুনিয়া ছেড়েই চলে গেছেন।
আজ সাইফুল আলম রিংকি, আসিফ হোসেন খান, আব্দুল্লাহ হেল বাকী, সাঁতারু মাহফিজুর রহমান, সোনিয়া আক্তার টুম্পা, স্প্রিন্টার শিরিন আক্তার, নাজমুন নাহার বিউটিসহ আরও কয়েকজন সম্মাননা পদক পেয়েছেন। অলিম্পিয়ানের মধ্যে শুটার,সাতারু ও অ্যাথলেটের সংখ্যাই বেশি। তাই বিওএ কিছু ফেডারেশন থেকে পাঁচজনের নাম প্রেরণ করতে বলা হয়েছিল। ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা বিওএ নতুন উদ্যোগকে প্রশংসিত করলেও গেমসের আসর অনুযায়ী সম্মাননা প্রদান করলে আরো সামঞ্জস্যপূর্ণ হতো বলে মনে করছে।
এবারের অলিম্পিক ডে রানের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল : আসুন আমরা স্বাস্থ্য ও সম্প্রদায়ের জন্য একসাথে এগিয়ে চলি। উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় সকাল সাড়ে ছয়টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে আরম্ভ হয়ে র্যালিটি সচিবালয়ের সম্মুখ রাস্তা প্রদক্ষিণ করে জাতীয় স্টেডিয়ামে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন খেলার খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, কোচ, আম্পায়ারসহ নানা অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ ছিলেন।
Leave a Reply