ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের ধরমন্ডল গ্রামের আঞ্জব আলীর ছেলে সেরু মিয়া ও জাহেদ মিয়ার ছেলে হেবজুল হককে গ্রামের আদম ব্যবসায়ী রঙ্গু মিয়ার ছেলে মোঃ রিপন মিয়া গত ২০২১ সালের মে মাসে প্রথমে ৪০ হাজার পরে ৫০ হাজার টাকা বেতন দিবে বলে গ্রামের সহজ সরল আঞ্জব আলীর ছেলে সেরু মিয়াকে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে তিন শত টাকার ষ্টাম্পে স্বাক্ষর করে সৌদি আরব পাঠান।
সেরু মিয়া সৌদি গিয়ে কোন কাজ না পেয়ে আজো সে অবৈধ ভাবে বসবাস করছে।
তাকে বৈধ করার জন্য সেরু মিয়ার পরিবারের কাছ থেকে দালাল রিপন দফায় দফায় আরো অনেক টাকা নিয়েছে।কিন্তু বৈধতার পরিবর্তে তার কপালে মিলছে পিটুনি।সৌদিতে দালাল চক্ররা মিলে টাকার জন্য সেরু মিয়াকে একটি কক্ষে আটকিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।যখনই মারপিট করে তখনই বাড়ি থেকে টাকা পাটায়।টাকা নিয়ে যাবার পরই আবারো শুরু হয় নির্যাতন।সেরু মিয়ার বৈধতা না থাকায় সে আসতে পারছে না দেশে।
অপরদিকে একই গ্রামের রিপনের ফুফাতো ভাই জাহেদ মিয়ার ছেলে হেবজুল হককে ও সৌদি পাঠান দালাল রিপন মিয়া।সৌদি নিয়ে কাজ না দিতে পারায় এবং হেবজুল হক বেশ কিছু দিন অবৈধ ভাবে থেকে পরে পুলিশের হাতে ধরা পরে বেশ কিছু দিন জেল কেটে প্রায় এগারো মাস পরে দেশে ফিরে আসে।বর্তমানে দুটি পরিবারই অতিকষ্টে দিন যাপন করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দালাল রিপন বলেন আমি তাদের সৌদি নেইনি।তারা ট্রাভেল্সের মাধ্যমে বিদেশ গেছে।তাহলে ষ্ট্যামে স্বক্ষর করে পাচ৷ লক্ষ ষাট হাজার টাকা নিলেন কিসের।জবাবে দালার রিপন জানান তারা শক্তিশালী মানুষ আমার কাছ থেকে খালি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তাদের মনগড়া মত করে লিখে নিয়েছে।
কিন্তু স্থানীয়রা রিপনের মাধ্যমে দুই জনকে সৌদি পাঠানোর কথা স্বীকার করেছে