1. tv@tarangotv.com : তরঙ্গ টিভি : তরঙ্গ টিভি
  2. info@www.tarangotv.com : তরঙ্গ টিভি :
শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৮ অপরাহ্ন

আলোচনা সভায় উপাচার্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এ বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহ্যগতভাবেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ জানায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ যখন উচ্চারিত হয়, তখন তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি মানুষের গভীর বিশ্বাসেরই প্রতিফলন।

শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে স্মৃতিচারণ করেন কলা অনুষদের সাবেক ডিন ও কারা-নির্যাতিত সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি এবং ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা।

এতে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

২০০৭ সালের ২৩ আগস্ট আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের স্মরণ করে উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আমরা সবসময় দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ থেকেছি। এ ঐতিহ্যের দায় আমাদের সবার। ভবিষ্যতেও যদি একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়, ডাক পড়লে আমরা আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করবো।

সেনাবাহিনী ও পুলিশকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, তারা আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আমরা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে যার যার জায়গা থেকে দেশের জন্য কাজ করবো।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আমরা স্মরণ করছি। শিক্ষকরা সবসময় শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাল হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, ২০০৭ সালের আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদার ওপর আঘাত এসেছিল। দেশের মানুষ তখন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষক সমিতির দিকে তাকিয়ে ছিল। আমরা আন্দোলন করেছি এবং দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এই আয়োজন হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা প্রতিষ্ঠায় যারা আন্দোলন করেছেন তাদের স্মরণ করার অনুষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের স্বকীয়তা না থাকলে শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি সম্ভব নয়। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা গ্রেপ্তার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলাম।

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন
© তরঙ্গ টিভি
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট