দলবদলের মৌসুম শুরুর আগে থেকেই আলোচনায় লিভারপুল সংশ্লিষ্ট বর্তমান ও সাবেকরা। অলরেড ক্লাবটি যেমন নতুন খেলোয়াড় নিচ্ছে, তেমনি দীর্ঘদিনের এই ঠিকানা ছাড়ছেন ইংলিশ ডিফেন্ডার ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ড। যা মানতে পারছেন না লিভারপুল ভক্তরা। সে কারণে ক্লাবের অন্যতম সেরা এই তারকাকে দুয়ো–ও শুনতে হয়েছে। অন্যদিকে, কোচিংয়ে ফেরার নতুন গুঞ্জন শুরু হয়েছে সাবেক অলরেড কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের। দুটি বিষয়েই ক্ষেপেছেন তিনি।

এবার ৪ মৌসুম পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে লিভারপুল। সাম্প্রতিক উত্থানের পর ২০১৯-২০ মৌসুমে অ্যানফিল্ডে ৩০ বছর পর লিগ শিরোপা এসেছিল। তবে করোনা মহামারিতে শিরোপা উৎসব হয়েছিল দর্শকদের ছাড়াই। অবশেষে ৩৫ বছরের অপেক্ষা শেষ করে আরও একবার নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা উৎসব করল লিভারপুল। গতকাল (শুক্রবার) লিভারপুল ফাউন্ডেশনের গালা বল অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন সাবেক কোচ ক্লপ। রোববার অলরেডদের মৌসুমের শেষ ম্যাচেও তার উপস্থিতির কথা রয়েছে।

চলতি মৌসুম শুরুর আগে লিভারপুল কোচের দায়িত্ব ছাড়া ক্লপ তার পুরো অলরেড অধ্যায়ে শিষ্য হিসেবে আলেক্সান্ডার-আরনল্ডকে পেয়েছেন। তিনি এই ইংলিশ তারকার প্রতি সমর্থকদের দুয়ো দেওয়ার দৃশ্য দেখেন টিভিতে। যার প্রতিক্রিয়া ক্লপ বলেন, ‘আমি কাউকে বলব না যে, তাদের কী ভাবতে হবে। তবে এটা বলতে পারি আপনার এমন ভাবনা ভুল। আপনাদের বলব না যে রাগ করা কিংবা হতাশ হওয়া উচিৎ নয়। তবে বলতে পারি আপনারা (আরনল্ডের অবদান) ভুলে যাবেন না। যা এই ক্লাব ভুলতে পারে না।’

আরনল্ডকে দুয়ো দেওয়ার দৃশ্য দেখে টেলিভিশন বন্ধ করে দিয়েছিলেন ক্লপ, ‘আমি খেলা দেখছিলাম, হঠাৎ দুয়ো দিতে শুনি। প্রথমে ভেবেছিলাম– বুড়ো হয়ে গেছি, ভুল শুনছি হয়তো। তাই আমি আরও মনোযোগ দিলাম, পরিস্থিতি বুঝতে আমার ১০ সেকেন্ড সময় লেগেছে। যখনই বুঝলাম ওরা আরনল্ডকে দুয়ো দিচ্ছে আমি টিভির সুইচ বন্ধ করে দিই। ওই মুহূর্তে এরচেয়ে বড় হতাশার কিছু হতে পারে না। আমরা এমন নই, শতভাগ সত্যি আমরা এমনটা করতে পারি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘লিভারপুলের ব্যাজটার জন্য সে প্রতিদিন সবকিছু করেছে। এখন সে ২০ বছর পর অন্য কোথাও যেতে চাচ্ছে, এই অবস্থায় যদি কেউ রাগ করতে চায় সেটি ক্লাবের মালিক, তারা (সমর্থক) নয়। লিভারপুল ভক্তদের এমন প্রতিক্রিয়া আমাকে অবাক করে দিয়েছে। আমরা কারও সঙ্গেই এমনটা করতে পারি না। এখানে কেবল ৬ মাসের জন্য আসা কারও জন্যও এমনটা চাই না, অবশ্যই তার প্রশংসা করতে হবে। ২০ বছর এই ক্লাবে থাকা কাউকে এমন অবস্থায় দেখা আমার জন্য সুখকর নয়, কারণ সে দারুণ এক বিদায় প্রাপ্য।’

এদিকে, সম্প্রতি গুঞ্জন ছড়িয়েছে ফের কোচিংয়ে ফিরছেন লিভারপুলের সাবেক জার্মান টেকনেশিয়ান ক্লপ। গণমাধ্যমের খবরে প্রথমে বলা হচ্ছিল তিনি ব্রাজিল জাতীয় দল কিংবা রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হতে পারেন। পরবর্তীতে তার এজেন্ট সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। এরপর ইতালিয়ান ক্লাব এএস রোমার কোচ হওয়ার গুঞ্জন চলছে। যা শুনে ক্ষেপেছেন ক্লপ, ‘আমি এএস রোমার প্রধান কোচ হচ্ছি না। এসব তথ্য খুবই বাজে। যদি আগামী কয়েক বছর আমার কোচিংয়ে ফেরার কোনো গুঞ্জন শুনতে পান, তা পুরোপুরি মিথ্যা।’