খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খালের পাড় থেকে খননযন্ত্র পর্যন্ত ‘লাল গালিচা’ বিছানোর ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তারা বলছে, এটা কোনো ধরনের অপব্যয় বা অতিরিক্ত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নেই। শুধু পিচ্ছিল পথে নিরাপত্তার জন্য লাল রঙের ‘কার্পেট সদৃশ ম্যাট’ ব্যবহার করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন স্বাক্ষরিত রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
এর আগে রোববার রাজধানীর মিরপুর-১৩ নম্বর সেকশন খাল সংস্কারকাজের উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
মিরপুরে বাউনিয়া খালের প্রান্তে খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে উত্তর সিটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপদেষ্টা ও অতিথিরা বক্তব্য দেওয়া শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্কার কাজ উদ্বোধনের জন্য ভাসমান খননযন্ত্র বা এক্সকাভেটরে ওঠেন। ওঠার পথে বিছানো ছিল ‘গাল গালিচা’।
ঢাকা উত্তর সিটি ব্যাখ্যায় বলেছে, অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, ভাসমান খননযন্ত্রে যেতে লাল কার্পেট বিছানোর কারণ কী? এ প্রসঙ্গে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে জানায় যে, যেখানে ভাসমান খননযন্ত্র রাখা হয়েছে তা কোনো স্থায়ী পন্টুনে স্থাপিত নয়, বরং একটি অস্থায়ী স্থানে রাখা হয়েছে। খননযন্ত্রে ওঠার রাস্তাটি অনেক ঢালু ও কাদা মাটি। খননযন্ত্রের মেঝে পিচ্ছিল। অতিথিদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য এবং চলাচল এলাকা দৃষ্টিগ্রাহ্য করতে একটি লাল রঙের কার্পেট সদৃশ ম্যাট ব্যবহার করা হয়েছে।
উত্তর সিটি আরও বলেছে, তারা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ্য করেছে যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা লাল গালিচায় হেঁটে খালে নামেন এবং ভাসমান খননযন্ত্রে উঠে কাজের সূচনা করেন বলে গণমাধ্যমে এসেছে। এটি কোনো আনুষ্ঠানিক লাল গালিচা নয়, বরং শুধু নিরাপত্তার স্বার্থে রাখা একটি ব্যবস্থা।
Leave a Reply