শরীয়তপুরের জাজিরায় আড়ঁ বাঁশের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রত্না আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বড় গোপালপুর ইউনিয়নের ফজু-মসাদ মাদবর কান্দি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রত্না একই এলাকার ঠান্ডু মাদবর (৩৫)-এর স্ত্রী এবং পাঁচু মাদবর কান্দি গ্রামের নিলচাঁদ (নিলু) হাওলাদারের মেয়ে।
নির্যাতনের অভিযোগ পরিবারের
স্থানীয়রা জানান, রত্নার স্বামী ঠান্ডু মাদবর নিয়মিত মাদক সেবন ও জুয়া খেলায় জড়িত ছিল। এছাড়া যৌতুকের দাবিতে সে রত্নাকে একাধিকবার মারধর করত। এর আগে হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে।
রত্নার বাবা নিলচাঁদ হাওলাদার বলেন,
“আমার মেয়েকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এর আগেও যৌতুকের জন্য মারধর করে মাথা ফাটিয়েছে। সে কারণে আর স্বামীর বাড়ি যেতে চাইছিল না মেয়েটি। কিন্তু স্থানীয় সালিশের কারণে পনেরো দিন আগে মেয়েকে আবার স্বামীর বাড়িতে পাঠাই।”
ঘটনার পর থেকেই স্বামী ঠান্ডু মাদবর পলাতক। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
পুলিশের অবস্থান
জাজিরা থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুস সালাম বলেন,
“খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যা