ডাকসুর পর জাকসু নির্বাচনেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এক দম্পতি। এছাড়া একজন বিদেশি শিক্ষার্থীও নির্বাচনে লড়বেন। এদিকে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে জাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জানা যায়, জাহঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ থেকে লড়বেন ওই দম্পতি। তারা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম ও ফার্মেসি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নিগার সুলতানা। তরিকুল লড়বেন জাকসুর কার্যকরী সদস্য পদে এবং সহ-সমাজসেবা ও মানবসেবা উন্নয়ন সম্পাদক (ছাত্রী) পদে লড়বেন নিগার সুলতানা। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষদিন প্যানেল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পেয়েছেন তারা।
তারিকুল ইসলাম বলেন, আমরা দুজন শিবিরের প্যানেল থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। আমরা আগেও শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেছি। আমি শাখা ছাত্রশিবিরের সদস্য; কিন্তু আমার স্ত্রী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। সে সবসময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করতে ভালোবাসে।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে জাকসু নির্বাচনে প্রার্থিতা : এদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন অনেকে। তারা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. সজীব চৌধুরী, একই বিভাগ ও ব্যাচের শিক্ষার্থী আইরিন সুলতানা আখি, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদ্দাম আলী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৫১তম ব্যাচের আব্দুল্লাহ আলিফ, ইতিহাস বিভাগের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মহসীন আলী।
মো. সজীব চৌধুরী দৃষ্টিশক্তি হারালেও শিক্ষাজীবন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অবিচল রয়েছেন। জাবিতে অধ্যয়নরত সজীব বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। নির্বাচনে তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল সংসদে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আইরিন সুলতানা আঁখি জন্ম থেকেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তিনি কেন্দ্রীয় সংসদে সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শাখা ছাত্রদলের শহীদ সালাম বরকত হল সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আলিফ শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
বিদেশি শিক্ষার্থীর প্রার্থিতা : নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিদেশি শিক্ষার্থী। তিনি নেপালি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ ব্যাচের ফার্মেসি বিভাগের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তিনি ফেসবুকে লেখেন, আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থন আমাকে আরও বেশি দায়িত্বশীল করে তুলবে, ইনশাআল্লাহ।