
শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহলের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি পলাশ খান, সাধারণ সম্পাদক শাওন বেপারী, সাংবাদিক বরকত মোল্লা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সদস্য সম্প্রতি এসিল্যান্ডের কাছ থেকে ব্যক্তিগত সুবিধা দাবি করেন। কিন্তু কর্মকর্তা মেহেদী হাসান নীতিনিষ্ঠভাবে কোনো অনৈতিক সুবিধা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এর পরপরই ওই তথাকথিত সাংবাদিকরা তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। স্থানীয় কিছু অনলাইন সংবাদমাধ্যম ও ফেসবুক পেজে মেহেদী হাসানের নামে নানা অপপ্রচার চালানো হয়, যা প্রশাসনিক মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় ফাঁস হওয়া একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে কথোপকথনের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, কীভাবে কয়েকজন ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ তৈরির কৌশল নিয়ে আলোচনা করছিলেন। রেকর্ডটিতে তাঁদের কণ্ঠে সরকারি কর্মকর্তাকে ‘চাপ দেওয়ার’ ইঙ্গিতও শোনা যায়, যা স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
এছাড়াও জাজিরার স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ দাবি করেন এ সকল তথাকথিত সাংবাদিকরা, জাজিরা টাইমস নামে একটি ফেসবুক পেইজ দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে নিউজ প্রচার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
জাজিরা উপজেলার সচেতন নাগরিক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান সরকারি কর্মকর্তাকে হেয় করার এ ধরনের অপপ্রচার কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ব্যক্তিগত স্বার্থে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হয়রানি করার এই সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।”
তাঁরা এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ও অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন “আমি সবসময় জনগণের স্বার্থে এবং আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। কিছু অসাধু ব্যক্তি ব্যক্তিগত স্বার্থে আমার সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমি বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে অবহিত করেছি, এবং সত্য প্রকাশ পাবে।”
জেলা প্রশাসনের একজন দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং অডিওসহ অন্যান্য তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সমাজে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৈতিকতা, পেশাদার সাংবাদিকতা ও প্রশাসনিক সেবার স্বচ্ছতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার রোধে প্রশাসন ও মিডিয়া উভয়ের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে সচেতন মহল