বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, আমরা জুলাই ও আগস্ট মাস পার করেছি, এর আগে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম ছিল। গত প্রায় ১৫ বছর ধরে এ দেশে ফ্যাসিবাদের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে আলেম-ওলামাদের হত্যা করা হয়েছে। সমাজের সবচেয়ে ভালো মানুষদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে। কোরআনের পাখি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের অনেক নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে পিরোজপুর জেলা ছাত্রশিবিরের আয়োজনে শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উপশাখার দায়িত্বশীলদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার উপর বর্বর হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। শিশু, বৃদ্ধ, নারী, পুরুষ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন খুনি হাসিনা। এই আন্দোলন হঠাৎ করে শুরু হয়নি, এটি একটি আদর্শিক জাগরণ, যার মূল কথা হলো আমরা অন্যায়কে মেনে নেব না। সমাজে যে জুলুমতন্ত্র কায়েম হয়েছে, সেটাকেও আমরা মেনে নেব না।
জুলাইয়ের স্পিরিটকে ধারণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাংলাদেশের প্রতিটি ছাত্র জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিল। তারা এই আদর্শিক জাগরণকে ধারণ করে বাংলাদেশকে গড়ে তুলবে। আমরা ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রত্যেক সদস্যের প্রতি আহ্বান জানাই জুলাইয়ের স্পিরিটকে ধারণ করে, সেই আদর্শিক ভিত্তিকে মজবুত করে নিজেদের পথচলাকে আরও শানিত করুন। ইসলামের আহ্বান ছড়িয়ে দিন, জুলাইয়ের স্পিরিটকে পৌঁছে দিন, আর এর মাধ্যমেই আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলব, ইনশাআল্লাহ।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি ডাকসু, রাকসু, চাকসুসহ বিভিন্ন নির্বাচনে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। এটি আল্লাহ তায়ালার কৃপা। আমাদের যতটুকু প্রচেষ্টা ছিল, তার থেকেও বড় ছিল আল্লাহর সাহায্য।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিরোজপুর জেলা শিবিরের সভাপতি ইমরান হোসেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ জহিরুল হক, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক, শিবিরের কেন্দ্রীয় ক্রিড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ রাফি, কেন্দ্রীয় পাঠাগার সম্পাদক সোহেল রানা, জাকসুর এজিএস ফেরদৌস আল হাসান ও শিবিরের জেলা সেক্রেটারি মিজানুর রহমান।