জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রংপুর স্টেডিয়াম স্থাপিত সেনা ক্যাম্পে অভিযুক্তদের বিষয়ে বিএনপি ও বৈষ্যমবিরোধী নেতাদের তলব করেন ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম। হামলায় অভিযুক্ত দুদলের চারজন ক্যাম্পে হাজির হন। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন তারা। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত না করার অঙ্গীকার করেন।
সেনা কমান্ডারও রংপুরকে শান্তিপূর্ণ রাখতে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানান। ভুল স্বীকার ও অঙ্গীকারের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার পরিস্থিতির প্রাথমিক নিরসন হয়েছে বলে জানান রংপুর সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম।
তিনি বলেন, রংপুরে একটি অনাকাঙিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। যারা দোষী তাদের চিহ্নিত করা দরকার ছিল। যারা এর সঙ্গে যুক্ত তাদের নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ও বিএনপি, দুই দলের কর্ণধাররা এখানে এসেছে। তারা ভুল বুঝতে পরেছেন। তারা তাদের ভুল স্বীকার করেছেন। তারা আমাদের কথা দিয়েছেন কোনো কিছু ঘটবে না। আশা করি, তারা আর এমন ঘটনা ঘটবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বলেন, ‘আমি সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, বিগত আওয়ামী স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারের একটি দোসর সংগঠন কীভাবে এখনো চলে। কাদের প্রেস্ক্রিপশনে চলে।’
সেনা ক্যাম্পের আলোচনা প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ বলেন, ‘আমাদের মিছিলে হামলা হয়েছে। এ জায়গা থেকে তারা (সেনাবাহিনী) আমাদের কাছে সাহায্য চেয়েছে। সেভাবে কথা হয়েছে। ইতিপূর্বে যা ঘটেনি তা আগামীতেও হবে না বলে কথা দিয়েছি। আমাদের কেউ সাংঘর্ষিক অবস্থায় ছিল না।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামন সামু বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যে সংঘর্ষ হয় তাতে আমাদের দুই একজন কর্মী আবেগের কারণে সম্পৃক্ত ছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র সেনাবাহিনীর পক্ষে এ পরিস্থিতি নিরসনের আহ্বন জানানো হয়। সে কারণে আমরা আলোচনা করি। সর্বসম্মতিক্রমে বিষয়টি নিষ্পত্তি হলো। আমরাও সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করবো। সেনাবাহিনীও আমাদের সহযোগিতা করবেন।’