শরীয়তপুরের জাজিরায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে জাজিরা পৌরসভার কবিরাজ কান্দি এলাকার “চাঁদের বাড়ি” রেস্টুরেন্টে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন,
> “জুলাই সনদের ভিত্তিতেই দেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। ফ্যাসিবাদী রাজনীতি, গুম-খুন, দমননীতি ও দলীয় স্বার্থে পরিচালিত প্রশাসন দিয়ে জনগণের গণতন্ত্র কায়েম করা সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, যদি তিনি শরীয়তপুর-১ (জাজিরা–পালং) আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন, তবে এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার মানোন্নয়ন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসবাদের অবসান, এবং দখলবাজ মুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করবেন।
আমরা এমন একটি দেশ চাই, যেখানে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে, যেখানে ন্যায় ও মানবতার ভিত্তিতে সমাজ গড়ে উঠবে,” — বলেন তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাজিরা উপজেলা শাখা খেলাফত মজলিসের সভাপতি নুরুল ইসলাম, এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাজিরা প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিক ফারুক হোসাইন, আবুতালেব ঢালী, মোঃ শফিকুল ইসলাম, সানজিদ মাহমুদ সুজন, মোঃ রতন আলী মোড়ল, মোঃ মোক্তার হোসেন ফকির, মেহেদী হাসান, সিমান্ত মোল্লা, শান্ত মিয়া, নাদিরা ইসলাম, শাহাজাদী সুলতানাসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
মতবিনিময় পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মাওলানা জালালুদ্দিন আহমেদ বলেন,
আমি যদি এমপি নির্বাচিত হই, তাহলে আমার নির্বাচনি এলাকায় ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলমান—সবাই নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাবে। নারীরা পাবে তাদের যথাযথ সম্মান ও সুযোগ।”
সভা শেষে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তিনি বলেন, দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকরা সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকলে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সহজ হয়।”
এই মতবিনিময় সভার মাধ্যমে শরীয়তপুর জাজিরায় রাজনৈতিক ও গণমাধ্যমের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা।
আপনি কি চান আমি এই প্রতিবেদনের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত সংবাদ শিরোনাম ও উপশিরোনাম (সাব-হেডলাইন) তৈরি করি, যেমন পত্রিকার জন্য ব্যবহার করা হয়?