হেনস্থার শিকার কম্পিউটার অপারেটরের নাম মোহাম্মদ ইমন (২৮)। তিনি টোল প্লাজায় টোল তোলার দায়িত্বে আছেন।
সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের গাড়ি বহর সাতকানিয়ার একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে টোল প্লাজা পার হচ্ছিল। বহরের গাড়িগুলোর মধ্যে সাদা ও কালো রঙের কয়েকটি প্রাইভেট কার ছিল, যেগুলোর নম্বর যথাক্রমে-চট্টমেট্রো গ ১১-৯৯১৩, চট্টমেট্রো চ ১১-৯৯৬৬, চট্টমেট্রো গ ১৩-৩৪৬৯, চট্টমেট্রো গ ১১-১০৬২, চট্টমেট্রো ঘ ১১-৪৬২৯। গাড়িগুলো ধীরে ধীরে টোল প্লাজা অতিক্রম করছিল। এ সময় নাজমুল মোস্তফা আমিনের গাড়ি আটকে যায় এবং টোল আদায়ে বিলম্ব হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে টোল প্লাজার বুথে প্রবেশ করেন।
টোল প্লাজার কর্মীরা জানান, শুক্রবার সাধারণত টোল প্লাজায় গাড়ির চাপ বেশি থাকে এবং যানজটের কারণে কিছুটা সময় লাগে। নাজমুল মোস্তফা আমিন এই সামান্য বিলম্বে ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মী ইমনকে গালিগালাজ করেন, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং কম্পিউটারে আঘাত করেন। তার এ আচরণের ফলে অন্যান্য কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং কয়েকটি গাড়ি থেকে টোল আদায় সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, শেষ পর্যন্ত নাজমুলকে বহনকারী সাদা রংয়ের প্রাইভেট কারটি টোল না দিয়েই চলে যায়।
ইজারাদার প্রতিষ্ঠান সেল-ভ্যান জেভির প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুমন ঘোষ জানান, শুক্রবারে গাড়ির চাপ বেশি থাকে। এদিন মেয়রের গাড়ি বহর টোল প্লাজা অতিক্রমের সময় কিছুটা বিলম্ব হয়। এতে একজন ব্যক্তি (নাজমুল মোস্তফা আমিন) অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে কর্মীদের গালিগালাজ করেন এবং কম্পিউটারে আঘাত করেন। বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও এ আচরণ নিন্দনীয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে নাজমুল মোস্তফা আমিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply