বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রাহুতকাঠী ও উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর খেয়া ঘাটের ট্রলার চালক মাহবুলকে (৫২) অপহরণের ১১ দিন পর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দীর্ঘ ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের মোল্লার হাট এলাকার তিন নদীর মোহনা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহায়তায় মাহাবুলের গলা লাশ উদ্ধার করে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতভর বাবুগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম এর নেতৃত্বে হত্যার সাথে জড়িত ৬ জনকে আটক করে পুলিশ।
হত্যার মাস্টার মাইন্ড গ্রেপ্তার মাহাবুলের ভাতিজা সুজন হাওলাদার (২৪) ও ভাইগ্না রিয়াদকে (২২) নিয়ে কেদারপুর ইউনিয়নের মোল্লার হাট এলাকার তিনি নদীর মোহনায় উদ্ধার অভিযান চালায় বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ। দীর্ঘ ৬ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধকর উদ্ধার অভিযানে নিখোঁজ মাহাবুলের গলা মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় উদ্ধারকারী টিম।
এদিকে ট্রলার চালক মাহবুল অপহরণের পর উদ্ধার, বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন, সড়ক অবরোধের ভিডিও ও ছবিতে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের দেখা যায়। নিজেদের সন্দেহের তালিকার বাইরে রাখতে ও পুলিশের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতেই হত্যাকারীরা মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
থানাসূত্রে জানা যায়, ৩১ জানুয়ারি রাতে রাহুৎকাঠী বন্দর ট্রলার ঘাট থেকে মাহবুলকে অপহরণ করে নদীর মাঝে বসে হত্যা নিশ্চিত করে মোল্লার হাট এলাকার তিন নদীর মোহনায় ব্লক বেঁধে ফেলে দেওয়া হয়। এসময় তার হাত পা বাঁধা ছিল। আসামিদের এমন বর্ণনার ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আনোয়ারুল হক বলেন, প্রধান আসামি সুজন হাওলাদারসহ ৬ জনকে আটক করেছি। ট্রলার ঘাটের ইজারা নিয়ে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বের কারণে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
বাবুগঞ্জ থানার ওসি শেখ আমিনুল ইসলাম বলেন, ৬ জনকে আটক করে হেফাজতে রাখা হয়েছে। সারাদিনের চেষ্টায় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।