বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম- এতো সুন্দর, এতো চমৎকার, এতো ভালো, এতো সুসংগঠিত কোনো জেলায় সম্মেলন হয়নি। আমি অনেক জেলায় গেছি, এমনকি আমার নিজ জেলাতেও মহাসচিব গিয়েছিলেন। কিন্তু তার চেয়েও আমার কাছে মনে হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের এই সম্মেলনটা দেখার মতো, অনুসরণ করার মতো এবং অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সুশৃঙ্খল ও সফল সম্মেলন আয়োজনের জন্য জেলা বিএনপির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং উপস্থিত নেতাকর্মীদের হাততালির মাধ্যমে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
দুদুর মুখে নিজের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের এমন উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শুনে পাশে বসা দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও হাত নাড়িয়ে আয়োজকদের অভিনন্দন জানান।
জেলা বিএনপির নেতারা ঢাকা পোস্টকে বলেন, দিন-রাত পরিশ্রম করেছি শুধু একটি সফল সম্মেলনের জন্য। আমরা কয়েকটি টিম ভাগ হয়ে কাজ করেছি, যাতে সব কিছু নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয়। আজ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখে প্রশংসা শুনে মনে হচ্ছে আমাদের শ্রম সার্থক হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমরা আরও ভালো সম্মেলন উপহার দিতে পারব।
জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মামুন উর রশিদ বলেন, কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতার মুখে এমন প্রশংসা শুনে সত্যিই ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে আমাদের কয়েক দিনের পরিশ্রমের ফল তিনি নিজ হাতে আমাদের হাতে তুলে দিলেন।
এর আগে সোমবার সকালে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দ্বি-বার্ষিক এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুর করিম।
এছাড়া আরও বক্তব্য দেন- রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী,পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ,
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবু হানিফ মুক্তা, জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস, ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস আলী ও অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৭ সালে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত তৈমুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সাবেক পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন।
দীর্ঘ ৮ বছর পর এবার কাউন্সিলরদের ভোটে নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী। তবে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আগেই মির্জা ফয়সল আমিনকে সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
Leave a Reply