বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের বাসিন্দা ছৈয়দ নুরকে (৩২) মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে অপহরণের চার দিন পর তার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া গেছে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে একজন রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ দুইজনকে আটক করেছে। নিহত ছৈয়দ নুর উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের দরগাহ বিল বাগান পাড়া এলাকার বাসিন্দা আলী আহমদের ছেলে।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ও ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের যৌথ অভিযানে ৭নং ওয়ার্ডের আজুখাইয়া ফকিরপাড়া এলাকার গহীন পাহাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের পরিবারের সদস্য ও খালাতো ভাই আবদুস সালাম বলেন, গত ১৮ জুলাই জুমার নামাজের পর ঘুমধুম ইউনিয়নের আজুখাইয়া গ্রামের অচিয়র রহমানের ছেলে ইসমাইল (৩০) ফোনে ব্যবসায়ীক লেনদেনের কথা বলে ছৈয়দ নুরকে আমতলী ছড়ায় ডাকেন। দেখা করতে যাওয়ার পর থেকে ছৈয়দের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাশরুরুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছৈয়দ নুরের স্ত্রী জোবাইদা বেগম বাদী হয়ে গত ১৮ জুলাই থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে ইসমাইলকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১ এর সি-ব্লকের রহমত উল্লাহ (৩০) নামক রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহতের মোটরসাইকেল উয়াখ্যং থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, অপহরণের পর ছৈয়দ নুরকে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর মুখে স্কচটেপ ও হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে পাহাড় থেকে ফেলে দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে অভিযান অব্যাহত আছে বলে পুলিশে জানিয়েছে।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নিহতের স্বজন ও পরিবার। ছৈয়দ নুরের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। নিহত ছৈয়দ নুরের দুই শিশু সন্তান রয়েছে। ফারজানা ইয়াসমিন মুন্নি ও আড়াই বছরের জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মিকে নিয়ে অসহায় অবস্থায় আছেন স্ত্রী জোবাইদা বেগম।
Leave a Reply