
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বিচার সালিশে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নিহত আলমগীর হোসেন হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও বিচার চেয়ে মানব বন্ধন করেছে নিহত আলমগীরের স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ৩ আগষ্ট পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে শালিশ বৈঠকের নামে আলমগীর (৪৬) পিতা, আব্দুস সোবহান বন্দর থানাধীন সালেহ নগর বাড়ৈপাড়া আসামি পারভেজের গাড়ির গ্যারেজে ডেকে এনে হাতুড়ি পেটা ও ওয়ালে মাথা ঠেকিয়ে আঘাত করলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
পরবর্তীতে বন্দর পুলিশ ফাঁড়িতে নিহত আলমগীরের বোন, কল্পনা বেগম বাদি হয়ে প্রায় ১৯ জনকে আসামি করে একটা হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এই মামলার দ্বায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব ব্যুরো (পিবিআই) তারা মামলাটি হাতে নিয়েই জুয়েল (৩৮) আনজু (৪০) পিতা বাচ্চু মিয়া। সাং স্বল্পেরচর গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফ ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটি বর্তমানে পিবিআই, নারায়ণগঞ্জ তদন্তাধীন। তারা ইতোমধ্যে আলমগীর হত্যার ৩ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন বাকিরা পলাতক। বর্তমান মামলার আইও, পিবিআই অফিসার জাহিদ হোসেনের কাছে মামলার অগ্রগতি জানতে চাইলে, তিনি জানান, আসামীরা পলাতক তারপরও তারা বিভিন্ন উপায়ে ৩ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। বাকীরাও হয়তো খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে। পিবিআই পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ জনাব, মোস্তফা কামাল রাশেদ -বিপিএম এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইতোমধ্যে আলমগীর হত্যা মামলার ৩ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদেরও শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। খুনিরা যেখানেই থাকুক পিবিআইর জালে তারা ঠিকই ধরা পরবে।
অন্যদিকে আলমগীর হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে তার স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মানব বন্ধন করে বক্তব্য রাখেন লিটন (বন্দর থানা শ্রমিক দলের সভাপতি) মোশাররফ হোসেন মসু (বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচীব) সানজিদ আলম ব্যাপারী (যুগ্ন আহবায়ক, বন্দর স্বেচ্ছাসেবক দল) আশরাফুল ইসলাম (বন্দর শ্রমিক দলের সহসভাপতি)
বক্তারা অবিলম্বে আলমগীর হাত্যা মামলার সব আসামীকে গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।