মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নয়াগাঁও মধ্যপাড়া এলাকায় নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়া পথে মো. আজিম (৩০) নামের এক যুবককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করা মামলায় শাহিন (৩৫) নামের এক আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসময় মামলার অপর ৭ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামি শাহিন অনুপস্থিত থাকায় সাজা পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আগস্ট দেলোয়ার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী বুলবুল আহমেদ। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহিন সদর উপজেলার নতুন গাঁও এলাকার খোকার ছেলে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার নয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একই এলাকার করিম ফকিরের ছেলে আজিম নির্বাচনের ভোট দেওয়ার জন্য ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পথে আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান সমর্থক শাহিনসহ ৮ জন তার পথরোধ করে আনারস মার্কায় ভোট দিতে বলেন। এ সময় আজিম আনারস প্রতীকে ভোট দেবে না বললে শাহিনসহ ৮ জন আজিমকে মারপিট করেন। পরে শাহিনের হাতে থাকা চাইনিজ চাপাতি দিয়ে আজিমের ডান পায়ের গোরালিতে কোপ মেরে রগ কেটে জখম করে। অন্যান্যরা আজিমের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আশেপাশের লোকজন আজিমকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করান। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগের ডাক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনায় আজিমের মা পরিবানু বাদী হয়ে গত ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর সদর থানায় শাহিনসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন। বিচারাধীনে থাকা মামলায় ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত শাহিনকে দোষী সাব্যস্ত করে ওই রায় ঘোষণা করেন।
খালাস প্রাপ্ত আসামীরা হলেন, সদর উপজেলার নতুনগাঁও এলাকার খোকার ছেলে হাসান (২৬), ইউনূছ চোকদারের ছেলে হৃদয় (২৪), হরিপদের ছেলে নারায়ণ, রতনের ছেলে ইয়াছিন (২৭), বিল্লালের ছেলে বাবু (২৬), জাকিরের ছেলে জুম্মন (২৭) ও ইউনুছের ছেলে স্বপন (২৮)।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী সুলতানা রোজিনা ইয়াসমিন বলেন, আদালত শাহিন নামের এক আসামিকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে। মামলার অপর ৭ জন আসামির বিরুদ্ধে ঘটনার বিষয়ে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply