২৫ এপ্রিল পর্তুগালের ৫১তম স্বাধীনতা দিবস উদযপিত হয়েছে। ১৯৭৪ সালের এই দিনে পর্তুগিজ সাধারণ নাগরিকদের সমর্থনে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৪১ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে দেশটিতে তিন দিনের শোক পালন করা হচ্ছ তাই দিবসটি উদযাপন কিছুটা সীমিত করা হয়। তবে নিয়ম অনুযায়ী দিনটিকে ঘিরে পার্লামেন্টে একটি বিশেষ অধিবেশনের আয়োজনে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী। এতে সব সংসদ সদস্যসহ বিশেষ অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।
দিবসটির গুরুত্ব বিবেচনায় সংসদে আলোচনা এবং রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পিকার এবং প্রত্যেকটি নির্বাচিত রাজনৈতিক দলের প্রধানরা ভাষণ দেন। এ ভাষণে স্বাধীনতার উদাহরণ হিসেবে পোপ ফ্রান্সিস এবং দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রাধান্য পায়।
এদিন বিকেল ৩টায় রাজধানীর এভিনিদা লিভারদাদে (স্বাধীনতা সরণি) প্রতি বছরের ন্যায় একটি ঐতিহাসিক রেলি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সেই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী সৈনিকরা নেতৃত্ব দেন। সাধারণ নাগরিকসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অভিবাসীদের সংগঠনের নেতারা জাতীয় পতাকা এবং কারনেশন ফুল হাতে নিয়ে র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
ঐতিহাসিক পর্তুগিজ জাতির জন্য একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন হচ্ছে ২৫ এপ্রিল। এই দিনটিকে পর্তুগিজ ভাষায় দিয়া দো লিবারদাদ অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবস এবং এই বিপ্লবটিকে দিয়া দো ক্রাবো বা কারনেশন বিপ্লবী হিসেবে অভিহিত করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ পূর্ববর্তী দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসন জনগণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করে ফলে পর্তুগালের সামরিক বাহিনীর সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে গোপনে একটি সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছিল। দেশের জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সম্মতির কারণে মাত্র ৭ দিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে তৎকালীন স্বৈরশাসক সালাজারের উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী মার্সেলো কেটানোর ক্ষমতার অবসান ঘটে।