একজনকে অন্তত হারতেই হতো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্যাসেমিরো। টটেনহামের জার্সিতে ছিলেন আর্জেন্টিনার ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো। শেষ পর্যন্ত অবশ্য হাসিটা হেসেছেন টটেনহামের ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো।
ইউরোপা লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর টটেনহাম হটস্পারের মধ্যেকার ফাইনাল জিতে ১৭ বছর পর প্রথমবার কোনো বড় শিরোপা জিতল টটেনহাম। আর সবমিলিয়ে ৪১ বছর পর কোনো মহাদেশীয় শিরোপায় হাত রাখল দলটা। প্রিমিয়ার লিগে দুই দলের অবস্থাই ছিল নাজুক। ইউরোপা লিগ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরার সুযোগ ছিল তাদের সামনে। সেটা লুফে নিতে পেরেছে টটেনহামই।
তবে ইউরোপিয়ান এই ফাইনালেও ছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈরথ। ইউনাইটেডে ছিলেন ব্রাজিলের তারকা ক্যাসেমিরো। টটেনহামের ডিফেন্সে ছিলেন রোমেরো। দুজনেই বিলবাও শহরে এসেছিলেন ফাইনালে অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে। তবে ক্যাসেমিরোই শেষ পর্যন্ত নিজের রেকর্ড হারালেন এই বড় ম্যাচে।
ইউরোপিয়ান ফাইনালে এর আগে কখনোই হারেননি ক্যাসেমিরো। জিতেছিলেন আট ফাইনাল। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ছিল ৫ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল এবং ৩ উয়েফা সুপারকাপ জেতার রেকর্ড। কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এসে নিজের প্রথম ফাইনালেই দেখতে হলো হারের মুখ।
বিপরীত চিত্র আর্জেন্টিনার রোমেরোর। এর আগে আর্জেন্টিনার হয়ে জিতেছেন দুই কোপা আমেরিকার ফাইনাল, একটি করে বিশ্বকাপ এবং ফিনালিসসিমা ফাইনাল। ফাইনালে অপরাজেয় থাকার রেকর্ডটা এদিন আরও শক্ত করলেন তিনি। এই নিয়ে ক্যারিয়ারের ৫ ফাইনালের সবকটাতেই জিতলেন তিনি।
অবশ্য ফাইনাল আর ট্রফি জয়ের আরেক ধারা ধরে রেখেছেন টটেনহামের কোচ আঞ্জে পোস্তেকোগ্লু। টটেনহামে দায়িত্ব নিয়েই বলেছিলেন, আমি খুব বেশি শিরোপা জিতিনি। তবে সব ক্লাবেই দ্বিতীয় বছরে শিরোপা জিতেছি। শিরোপার সেই ধারা ধরে রাখলেন টটেনহামে এসেও। নিজের দ্বিতীয় মৌসুমে এসেই স্পার্সদের জেতালেন ইউরোপা লিগ ফাইনাল।
আর এই ফাইনাল দিয়ে পেশাদার জীবনে প্রথম শিরোপার দেখা পেলেন হিউয়েন মিন সং। দক্ষিণ কোরিয়ার এই তারকা বর্তমানে টটেনহামের অধিনায়ক। সময়ের অন্যতম সেরা এই লেফট উইঙ্গার নিজের প্রথম শিরোপার জন্য অপেক্ষা করেছেন অনেকটা দিন। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক হয়েই সেই অপেক্ষা শেষ করলেন তিনি।