গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির প্রভাবে মানিকগঞ্জের সবজির বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম বেড়েছে গড়ে ১০ থেকে ২০ টাকা। ক্রেতাদের অভিযোগ- বাজার তদারকির অভাব এবং ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করছেন।
ফলে দাম নিয়ে ত্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ হয়ে পড়েছেন চরম অসহায়।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে দামের ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ। সদর উপজেলার ভাটবাউর বৃহৎ কাঁচাবাজারের তথ্য অনুযায়ী, পাইকারিতে এক কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়। অথচ খুচরা বাজারে সেই একই কাঁচামরিচের দাম ২৫০ থেকে ৩২০ টাকা। একইভাবে পটল পাইকারিতে ৬০-৬৫ টাকা হলেও খুচরায় ৮০ টাকা, করলা ১০০, বেগুন ১০০-১২০, পেঁয়াজ ৮০, পেঁপে ২০ এবং আলু ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ বাজার তদারকির অভাবে একই পণ্য মানিকগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। বাসস্ট্যান্ড, বেউথা ও হিজুলী বাজারে সবজির দামে তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে।
হিজুলী বাজারে স্থানীয় এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দুই দিন আগেও পটল ৫০ টাকায় কিনেছি, আজ চাচ্ছে ৮৫! যে দোকানে যাবেন সবাই একই দামে বিক্রি করছে।”
শুধু সবজি নয়, মাছের বাজারেও দেখা দিয়েছে একই চিত্র। এক সপ্তাহের মধ্যে রুই মাছের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৫০ টাকা, কাতলা ৬০ টাকা, আর তেলাপিয়া ৪০ টাকা। এখন রুই বিক্রি হচ্ছে ৪০০, কাতলা ৪৮০, তেলাপিয়া ২৪০ টাকা কেজি দরে। দেশীয় মাছ যেমন টেংরা, শিং, কই প্রজাতির মাছের দামও কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক টানা বৃষ্টিতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং সরবরাহ কমে যাওয়াই দাম বৃদ্ধির মূল কারণ। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ ভিন্ন। তারা বলছেন, সরকারি নজরদারি না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছেন।
সরকার যেন দ্রুত বাজার তদারকির মাধ্যমে সবজি ও মাছের দাম নিয়ন্ত্রণের আনেন, এমন প্রত্যাশা ক্রেতাসাধারণের।