চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল ভারতের। তবে শেষ মুহূর্তে ভারত বেঁকে বসায় এ বছর আর সিরিজটি হচ্ছে না। ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারে তারা। চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে এ খবর নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তিন ওয়ানডে এবং তিন টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল ভারতের। তবে মাস দুয়েক আগে থেকে গুঞ্জন ছিল আগস্টে বাংলাদেশ সফর করবে না ভারত, গুঞ্জনই সত্যি হয় পরবর্তীতে। যেহেতু ভারত আসছে না, সেক্ষেত্রে এই সময়ে অন্য কোনো দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে পারে বাংলাদেশ। এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রিকেটাঙ্গনে।
যদিও লম্বা সময়ের জন্য ক্রিকেটাররা একটি স্কিল এবং ফিটনেস ক্যাম্পও করতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। তবে আজ শনিবার বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানালেন নেপাল এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে পারে টাইগাররা। সেই অনুযায়ী চেষ্টা করছে বিসিবি, লিডিং কোনো দেশ ফাঁকা না থাকায়।
প্রধান কোচ ফিল সিমন্স ১৫ আগস্ট ফিরবেন বাংলাদেশে। তবে সিরিজ আয়োজনের ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সবই এখনো আলোচনার টেবিলে। এদিকে পাকিস্তান সিরিজ শেষ করে ক্রিকেটাররা নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ব্যস্ত। দেশে কিংবা কেউবা আবার বিদেশে অবস্থান করছেন। কোচিং স্টাফরাও রয়েছেন ছুটির আমেজে।
ফাহিম বলেন, ‘বেশিরভাগ দেশেরই নির্ধারিত সিরিজ আছে। আমাদেরও তো ভারতের সঙ্গে সিরিজ ছিল। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ওটা খেলে এশিয়া কাপে যাব। যেহেতু ভারত এখন আসছে না, আমরা চেষ্টা করছি অন্য কোনো দেশকে আনা যায় কি না। প্রথম সারির কোনো দেশ এখন অ্যাভেইলেবল না কারণ তাদের নির্ধারিত প্রোগ্রাম আছে। আমরা অন্য কোনো দেশ, সেটা হতে পারে নেদারল্যান্ডস, হতে পারে নেপালের সঙ্গে সিরিজ আয়োজনের একটা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
মূলত ঘরের মাঠেই সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বিসিবি। তবে কোনো কারণে সেই পরিকল্পনা ন হলে ভিন্ন পরিকল্পনাও সাজিয়ে রেখেছে বিসিবি দাবি ফাহিমের, ‘যদি বিদেশি দল না পাই সেক্ষেত্রে আমরা এখন থেকেই ভাবছি জাতীয় দল যখন বাইরে খেলতে যাবে তখন জাতীয় দলের কাছাকাছি সবচেয়ে ভালো যে দল তাদের সঙ্গে একটা সিরিজ খেলব। তাতে জাতীয় দলের একটা ভালো প্রস্তুতি হবে আর যারা সামনে জাতীয় দলে আসছে তাদের জন্যও প্রতিযোগিতার ভালো সুযোগ হবে।’
Leave a Reply