1. info@www.tarangotv.com : TV :
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন

মামলার আলামত গায়েবের ঘটনায় কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফসহ ৬ জন তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে তলব!

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

এক দশক আগে দায়েরকৃত আলামত গায়েবের ঘটনায় কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফসহ একই মামলার ছয়জন তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

 

আদালতের আদেশ অনুযায়ী, আগামী ২২ অক্টোবর ছয়জনকে স্বশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক সিরাজাম মুনীরা। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিএমপি পুলিশ কমিশনার ও এসি (প্রসিকিউশন)-এর কাছে আদেশের কপি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দিন।

মামলার নথি সূত্রে আরও জানা গেছে, অত্র মামলা ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর দায়ের হয়। এরপর মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন-১ম তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের এডি মানিক লাল দাশ, ২য় তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার এসআই আক্তার হোসেন, ৩য় তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার এসআই আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ৪র্থ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির এসআই শুভ্র মুকুল চৌধুরী, ৫ম তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির ইন্সপেক্টর মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ৬ষ্ঠ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সাবেক ইন্সপেক্টর বর্তমান সিএমপি কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ। সর্বশেষ এই ষষ্ঠ তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষ করে পৃথক তিনটি চার্জশিট বা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আদালত আদেশে উল্লেখ করেন, স্বাভাবিকভাবে মামলার অভিযোগপত্র দাখিলকারী তদন্ত কর্মকর্তা মামলায় জব্দকৃত আলামত ও অন্যান্য কাগজপত্র পূর্ববর্তী তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রাপ্ত হওয়ার পর তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এছাড়া, জব্দকৃত আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় থানা, কোর্ট মালখানা বা প্রয়োজনীয় স্থানে জমা দিয়ে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

কিন্তু এ মামলাটিতে ওসি মুহাম্মদ শরীফ জব্দকৃত আলামত পূর্ববর্তী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে গ্রহণ না করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন, যা যথাযথ প্রক্রিয়া ব্যাহত করেছে। এজন্য ছয়জন তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ২২ অক্টোবর আলামত উপস্থাপনসহ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক সিরাজাম মুনীরা।

চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, ওসি মুহাম্মদ শরীফ ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর মামলাটির তদনন্দের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সার্বিক তদন্তে তিনি জানান, আসামি জাফর আহমদ দীর্ঘদিন ধরে রেয়াজউদ্দিন বাজারে কাঁচা বাজার সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে বিদেশী ডলার ক্রয়-বিক্রয় করছিলেন। তার কোনো বৈধ লাইসেন্স ছিল না। মূলত জাফর আহমদ আচার ও সিগারেট বিক্রির আড়ালে ডলার ক্রয়-বিক্রয় এবং হুন্ডির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে অর্থ পাচারের ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা, দুদকের তখনকার উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাশ বলেন, যখন আমি চট্টগ্রাম দুদকে ছিলাম তখন মামলাটি আমার কাছে এক মাস ছিলো। তবে তদন্তে অগ্রগতি ছিলো না। পরে যখন মামলাটি পুলিশের কাছে গেছে তখন সমস্ত আলামত আর নথিপত্র পুলিশের পরবর্তী তদন্ত কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতটুকু মনে আছে। বর্তমানে আমি অবসরে আছি।’

সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও চার্জশিট দাখিলকারী ওসি মুহাম্মদ শরীফের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতেও রাজি হননি।

এদিকে কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফের বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তন হলে বিএনপির একাংশের ভাগ্য বদলে যায়, আর এসব ভাগ্য বদলে যাওয়া বিএনপি নেতাদের সাথে আঁতাত করে ওসি মোহাম্মদ শরীফ হয়ে ওঠে রাজকীয় ওসি।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট