
যশোরের শার্শা উপজেলায় চার দিন নিখোঁজ থাকার পর ভ্যানচালক যুবক আবদুল্লাহর (৩০) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত মুকুল, সহযোগী আসানুর ও সাগরকে আটক করেছে। তারা হত্যায় জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারও করেছেন। ডিবি পুলিশের জন্য এটি বড় সাফল্য-বলছেন শার্শার সচেতন মহল। তাদের দাবি আসামিরা যাতে আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বেরুতে না পারে, সেই বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তার মাথায় রাখতে হবে। দ্রুত শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
তদন্তে উঠে এসেছে-পূর্ব শত্রুতা ও ভ্যানের লোভে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় আবদুল্লাহকে।
ডিবি সূত্র জানায়, অভিযুক্তরা হত্যার পর মরদেহ গোপন করার জন্য শার্শার নাভারণের কাজীরবেড় গ্রামের একটি বাড়ির সাব-বাক্সের ভেতর লুকিয়ে রাখে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে ৩ জনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার বিষয়টি স্বীকারও করেছে, জানায় তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
ডিবির পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, “আবদুল্লাহকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার মরদেহ সাব-বাক্সে লুকিয়ে রেখে আইনের হাত থেকে বাঁচার চেস্টা করেছিল। আটক আসামিরা ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে। তাদের দেখানো মতে উদ্ধার করা হয়েছে আবদুল্লাহর ব্যবহৃত ভ্যান ও হত্যায় ব্যবহৃত চাকু।”
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরআগে, গত ১০ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন আবদুল্লাহ। পরিবার বহু খোঁজাখুঁজির পরও কোনো সন্ধান না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
চার দিন পর স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ, যা এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও শোকের সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইউনুস আলী বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তভার এখন জেলা ডিবি পুলিশের হাতে রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন,“আবদুল্লাহ ছিলেন পরিশ্রমী যুবক। তার সঙ্গে এলাকার কারও বড় শত্রুতা ছিল না। শুধু ভ্যানের লোভে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
পুলিশ বলছে, মামলাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখা হচ্ছে। আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।