অনেক সময় অসাবধানতাবশত বা ভুলবশত আমরা মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সেবন করে ফেলি। এমন পরিস্থিতিতে মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, এটি কতটা বিপজ্জনক হতে পারে? আদৌ কি এর কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, নাকি বিষয়টি তেমন উদ্বেগের নয়? এই প্রশ্নটি প্রায়শই আমাদের মনে আসে, বিশেষ করে যখন আমরা পুরনো ওষুধের বাক্স ঘাঁটতে গিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো ওষুধ খুঁজে পাই।
এই প্রতিবেদনে আমরা মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সেবনের সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং এর ফলে কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণত প্রস্তুতকারক কোম্পানির পক্ষ থেকে ওষুধের মেয়াদ প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে সেই ওষুধের কার্যক্ষমতা সময়ের সঙ্গে কমতে থাকে।
চিকিৎসকদের মতে, অনেক ক্ষেত্রে ওষুধটি বিষে পরিণত হয়। বিশেষ করে অজান্তে মেয়াদ উত্তীর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক, হার্টের ওষুধ বা ইনসুলিন কখনও ব্যবহার করা উচিত নয়।
কী করা উচিত
বাড়িতে নিয়মিত ওষুধের মেয়াদ দেখা নেওয়া উচিত। কোনও ওষুধের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে, তা তখনই ফেলে দেওয়া উচিত। তাতে পরবর্তী সময়ে তা ভুলবশত খেয়ে ফেলার আশঙ্কা কমবে। তরল ওষুধ সাধারণত দ্রুত নষ্ট হয়। তাই বাড়িতে স্যাঁতসেঁতে কোনও জায়গায় তরল ওষুধ রাখা উচিত নয়। কোনও ওষুধ নিয়ে মনের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হলে, সব সময়েই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।