বগুড়া সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অতুল চন্দ্র দাস এর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাত সাড়ে এগারোটায় সদর উপজেলার সাবগ্রাম হাট যুবদল অফিস সংলগ্ন এলাকায় এঘটনা ঘটে। বর্তমানে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা বিপদমুক্ত। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাবগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শিমুল।
তিনি জানান, স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে অতুল চন্দ্র দাশকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এখন তিনি মোটামুটি সুস্থ রয়েছেন।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অতুল চন্দ্র দাস বেশ কিছুদিন হলে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গতকাল রাতে তিনি শহরের দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাবগ্রাম হাটে এসে পরিচিত দোকান থেকে ওষুধ কিনতে আসলে ১০থেকে ১৫জন মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা অতুল চন্দ্র দাস এর উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
অতুল চন্দ্রের ভাই মিঠু জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আমি সাবগ্রাম হাট মসজিদ গ্যারেজে অবস্থান করছিলাম। এই সময় কিছু গুলির শব্দ শুনতে পাই। আমি তখন যুবদলের ইউনিয়ন অফিসের দিকে এগিয়ে যাই, তখন দাদার চিৎকার শুনতে পাই। তার চিৎকার শুনে আমিসহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা তার শরীর ও মাথায় ধারলো অস্ত্রের আঘাত করে পালিয়ে যায়। কাছে গিয়ে দেখি দাদা মাটিতে পরে আছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা মুখোশ পড়ার কারণে তাদের চিনতে পারিনি। আমরা তীব্র প্রতিবাদ এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় থাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাশির বলেন, গতরাত থেকেই পুলিশ মাঠে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ ঘটনায় যুবদল ও বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বগুড়া জেলা যুবদল বিকাল ৪ টায় বিক্ষোভ মিছিল ডাক দিয়েছেন।
Leave a Reply