খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়নে যুবদলের এক সদস্যকে তুলে নিয়ে রাতভর পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। আহত যুবদলকর্মী মো. আইয়ুব আলী বর্তমানে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত মঙ্গলবার (১০ জুন) দিবাগত রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। বুধবার সকালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত মো. আইয়ুব আলী জানান, তিনি রাজনীতির পাশাপাশি পেশায় একজন ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক। মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আলমগীর চৌধুরী কৌশলে তার মোটরসাইকেলে করে বাজার থেকে বাড়ির কাছে আসেন। ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে তর্ক হয়। একপর্যায়ে ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য মাসুদসহ আরও ৫-৬ জন মিলে তাকে তুলে নিয়ে আলমগীরের বাড়িতে আটকে রাখে এবং সারারাত ধরে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে মারধর করে।
আইয়ুব অভিযোগ করেন, বুধবার সকালে তাকে চোর অপবাদ দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা করা হয়।
আইয়ুবের বড় ভাই, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি রুস্তম আলী বলেন, আলমগীর ও তার সহযোগীরা আমার ভাইকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করি। তার মোটরসাইকেল ও জুতা মক্তব পাড়া এলাকার একটি দোকানের পাশে পাওয়া গেছে।
তবলছড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল চৌধুরী এবং তার ছেলে আলমগীর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। দোষী হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যেত, কিন্তু তারা নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমরা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে তবলছড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, একজন চোর আটক করা হয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ আলমগীরের বাড়িতে যায়। পরবর্তীতে জানা গেছে বিষয়টি প্রেমঘটিত। আটককে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত আলমগীর চৌধুরী মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মকবুল চৌধুরীর ছেলে।
Leave a Reply