হাতে আর মাত্র দুদিন। তাই তো কুরবানির পশু কেনায় হাটগুলোতে ভিড় করছে ক্রেতারা। এর ব্যতিক্রম নয় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের ১৭ পশুর হাটেও। উপজেলার হাটগুলোতে ভিড় করছে ক্রেতারা। জমে উঠেছে বেচাকেনা।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও কুরবানির পশুর হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। এতে কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বড় গরু আনা খামারি ও বেপারিদের। ক্রেতারা বড় গরুর দাম প্রত্যাশা অনুযায়ী বলছে না বলে জানান পশু নিয়ে হাটে আসারা।
উত্তর চরবংশী ইউপির চরকাছিয়া গ্রামের তরুণ খামারি শাকিব হোসেন। ছোট-বড় মিলিয়ে ২২টি গরু নিয়ে রায়পুর পৌরসভার নতুনবাজার হাটে এসেছেন তিনি। তবে, এখনও একটি গরুও বিক্রি করতে পারেনি এ খামারি। শাকিব বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেড়েছে। গরু লালন-পালনে আমাদের খরচ অনেক বেড়েছে। কিন্তু ক্রেতারা দাম বলছে না। গরু বিক্রি হচ্ছে না তাই চিন্তায় আছি।’
চরআবাবিল গ্রামের এলাকার খামারি আবদুল খালেক বলেন, ‘বড় গরুর চাহিদা কম, ফলে দামও কম। লোকসানের আশঙ্কা করছি।’
কেরোয়া গ্রামের আক্তার হোসেন বলেন, ‘২৫টি বড় গরু এনেছিলাম। মধ্যে মাত্র ১২ বিক্রি করেছি। তবে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম দামে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।’
দালালবাজার এলাকা থেকে আসা ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বাজারে পশুর সরবরাহ পর্যাপ্ত। ছোট আকারের গরু ৭০ থেকে ৮০ হাজার, মাঝারি ৯০ হাজার থেকে দেড় লাখ, বড় গরু এক লাখ ২০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এবার কুরবানির জন্য প্রস্তুত পশুর সংখ্যা ১৯ হাজার ৯৮৪টি। এর মধ্যে গরু ৯ হাজার ৬৩২ টি, ছাগল তিন হাজার ৫২৪টি, ভেড়া ৭৩৪টি ও মহিষ ১৩ হাজার ৮৯০ টি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতাউর রহমান জানান, উজেলার চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত ছয় হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। সুস্থ ও নিরাপদ পশু ক্রয়ের নিশ্চয়তা দিতে প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি টিম মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রায়পুরে কৃত্রিম ওষুধ ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটাতাজাকরণ হয়, যা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে।’
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) (রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা সার্কেল) জামিলুল হক বলেন, ‘পশুবাহী ট্রাক ও বিক্রেতারা যেন চাঁদাবাজি ও হয়রানির শিকার না হন এবং জাল টাকা রোধে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’
Leave a Reply