1. tv@tarangotv.com : তরঙ্গ টিভি : তরঙ্গ টিভি
  2. info@www.tarangotv.com : তরঙ্গ টিভি :
সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

লাইনচ্যুত ট্রেন উদ্ধারে এসে উদ্ধারকারী ট্রেনও লাইনচ্যুত

জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রাম-চিলমারী রেলপথে একদিনে দুই ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে উলিপুর উপজেলার বালাবাড়ি রেলস্টেশনের উত্তরে রমনা লোকাল ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লালমনিরহাট থেকে উদ্ধার কাজে আসা রিলিফ ট্রেনটিও উলিপুরের পাঁচপীর রেলস্টেশন পার হওয়ার পর লাইনচ্যুত হয়।

ট্রেন দুটির পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

রমনা লোকাল ট্রেনের পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, পার্বতীপুর থেকে চিলমারীর রমনা স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ট্রেনটি বালাবাড়ি স্টেশনের কাছাকাছি রসুলপুর এলাকায় পৌঁছালে গার্ড ব্রেকের বগির চারটি চাকা লাইনের বাইরে চলে যায়। ট্রেনটি দুপুর ১২টা ১০মিনিটে রমনা স্টেশন থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।

তিনি আরও জানান, উলিপুরের পাঁচপীর স্টেশন থেকে চিলমারী পর্যন্ত রেললাইনে কোথাও পাথর নেই। ফলে ঘণ্টায় মাত্র ১২ কিলোমিটার গতিতে চালানো হলেও ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।

অপরদিকে রিলিফ ট্রেনের পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, সাতটি বগি নিয়ে লালমনিরহাট থেকে রওনা দেওয়া উদ্ধারকারী ট্রেনটি পাঁচপীর ও উলিপুর স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় পৌঁছেই লাইনচ্যুত হয়। পরে সন্ধ্যায় রিলিফ ট্রেনটি পুনরায় লাইনে তুলে আনা হয়। বর্তমানে এটি উলিপুর স্টেশনে অবস্থান করছে।

রোববার বিকেলে সরেজমিনে পাঁচপীর রেল স্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ রেলপথজুড়ে কোথাও পাথর নেই। পুরো রেলপথ মাটির ওপর দিয়ে বিছানো। অনেক জায়গায় স্লিপার মাটির নিচে দেবে গেছে। কোথাও কোথাও রেললাইনের নিচ থেকে মাটি কেটে এনে ভরাট করা হলেও গাইড ওয়ালের অভাবে বৃষ্টির পানিতে সেই মাটি আবার নিচে নেমে গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেল সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, পাঁচগাছী থেকে রমনা পর্যন্ত রেলপথটি দীর্ঘদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণে ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটারে সীমাবদ্ধ করা হলেও নিরাপদে ট্রেন চালানো যাচ্ছে না। জরুরি সংস্কার না হলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

লালমনিরহাট রেল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে এই রেলপথ সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিশ্বাস কনস্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাজের দায়িত্ব পেলেও এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো রেললাইন, স্লিপার বা পাথর বসানোর কাজ শুরু হয়নি। শুধু কিছু মাটি ভরাট ও কয়েকটি সেতু মেরামত করা হয়েছে। ফলে রেলপথটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়ে গেছে।

বিশ্বাস কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার রুবেল মিয়া বলেন, স্লিপার সংকটের কারণে রেলপথ সংস্কারের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। তবে আগামী মাসে কিছু স্লিপার আসার কথা রয়েছে। সেগুলো পেলে দুর্গাপুর থেকে উলিপুর পর্যন্ত রেলপথের কাজ শেষ হবে।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবু হেনা মোস্তফা আলম বলেন, চিলমারী-রমনা বাজার স্টেশন রেলপথের সংস্কার কাজ চলছে। সেখানে রেললাইনের পাথর সরিয়ে স্লিপার বসানোর কাজও চলমান রয়েছে। এ কারণেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এই রেলপথ আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে।

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন
© তরঙ্গ টিভি
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট