লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, সখিপুর থানার নাইমুদ্দিন সরকার কান্দি এলাকায় চর সখিপুর মৌজায় বি আর এস ৩৩৪৪ ও ৮৫৮৬ খতিয়ানের ১৩৪৬১,১৩৪৬৯,১৩৪৬২,১৩৪৭১,১৩২৫১ দাগের ভুক্তভোগী নুর জাহান বেগমের বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি ৫০.৬২ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার প্রভাবশালী সিরাজ সরদারের ছেলে মো.কবির সরদার ও মৃত আবুল কাশেম মৃধার ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম রতন জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। এনিয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা হয়। তবে অভিযুক্ত কবির সরদার ও রতন মৃধা জমিটি ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা ও হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এবং ভুক্তভোগীর জমিতে বিল্ডিং করে দখন করে রেখেছে। সম্প্রতি গতকাল ওই জমির গাছপালা কেটে ফেরার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে সকালে ওই জমিতে নুর জাহান বেগম ও তার স্বামী গাছ কাটার বিষয় জানতে গেলে তাদের হুমকি ধামকি দিয়ে ওখান থেকে বের করে দেয়।
ভুক্তভোগী নুর জাহান বেগম বলেন, “আমার বাবা ও ভাই মৃত্যু বরন করেন। তাই বাবার ওয়ারিশ সূত্রে এই জমির মালিক আমি একাই। আমি আমার স্বামীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরে থাকি। এই সুযোগে স্থানীয় কবির সরদার ও রতন মৃধা আমাদের পৈত্রিক জমি দখল করে নিয়েছে। আমরা জমি ফেরত নিতে চাইলে ওরা ফেরত দিচ্ছে না। আমরা প্রতিবাদ করলেই আমাদের ওপর চড়াও হয় এবং বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। জমি ফেরত পেতে আমরা জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও সখিপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছি। তবে কোন লাভ হয় নি। আমি আমার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত চাই এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।”
নুর জাহান বেগমের স্বামী জলিল কাজি বলেন, এই জমিটা মূলত আমার শশুর মো.হোসেন সরদারের। তিনি মারা যাওয়ার পরে আমার স্ত্রী নুর জাহান বেগম পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয় এবং জমির খাজনা ও মিউটেশন করে নেয়। এরপর আমার গাজীপুর থাকাকালীন স্থানীয় প্রভাবশালী কবির ও রতন রাতের আঁধারে আমাদের জমিটি দখল করে নেয়। আমরা বহুবার চেষ্টা করেছি ওরা ছাড়ছে না। পাশেই কবর ছিলো সেগুলো ভেঙে ফেলেছে। তাদের ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলতে সাহস পান না। আমি প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি বিশ্বাস করি প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা ন্যায় বিচার পাবো।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত কবির সরদারের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি তবে কথা হয় আরেক অভিযুক্ত রতন মৃধার সাথে। তিনি বলেন, “কিছু জমি আমি নুর জাহানের চাচার কাছথেকে কিনে রেখেছি বাকি জমিটুকু আমার দখলে আছে। নুর জাহান বেগমের বাবা ভারতে যাওয়ার আগে আমাকে দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে গেছে। যদি ওনার বাবা হোসেন সরদার কখন এসে জমি ফেরত চায় আমি দিয়ে দিবো। নুর জাহান বেগমের বাবার জমি আপনি দখল করে রেখেছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে রতন মৃধা বলেন, আমি একা দখল করিনি কবির সরদার ও দখল করে রেখেছে। ছাড়তে হলে দুজনই ছাড়বো।”
সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওবায়দুল হক বলেন, “জমি দখলের বিষয় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে