ভারতের মেঘালয় ও আসামে টানা ভারি বর্ষণ এবং শেরপুরে গত চার দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এরই মধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেল ৪টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গতকাল রাত থেকে চেল্লখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এতে করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে গত দুই দিন থেকে সোমেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নির্মাণাধীন চাপাতলী সেতুর পাশের নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করায় আশপাশের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শেরপুর জেলায় ভারি বর্ষণের কারণে মহারশি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দীঘিরপাড় এলাকায় দীঘিরপাড় ফাজিল মাদরাসার পার্শ্ববর্তী মহারশি নদীর পাড় ভাঙনের মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা ঝুঁকিতে রয়েছেন।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ভোগাই নদীর পানি (নকুগাঁও পয়েন্ট) বিপৎসীমার ১৮৪ সেন্টিমিটার নিচে, নালিতাবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩১ সেন্টিমিটার নিচে ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৬৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, ২০ মে পর্যন্ত জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে, যা জনজীবন ও কৃষি খাতে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
জেলা কৃষি বিভাগ ইতোমধ্যে কৃষকদের পাকা ধান দ্রুত কেটে উঁচু স্থানে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং শুরু হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, এখন পর্যন্ত সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা সব সময় পর্যবেক্ষণ করছি। ইতোমধ্যে উপজেলার সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে মিটিং করা হয়েছে। কোনো ধরনের সমস্যা দেখামাত্রই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।