রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকটি বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব ছিল সরকার গঠনের পর দুই বছরের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তা মেনে নিয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, এই সনদ আসলে একটি ঐতিহাসিক অঙ্গীকারনামা, যা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে জাতিকে একটি নতুন দিশা দেখাবে। এ সনদের মূল শক্তি হলো- এতে থাকা অঙ্গীকারনামা, যেখানে ঐকমত্যে পৌঁছানো বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনে আইন, সংবিধান ও বিধির পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এ প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় সংসদই হবে মূল মঞ্চ।
তিনি আরও বলেন, আমরা একমত হয়েছি যে, সংসদ গঠনের দুই বছরের মধ্যে সব অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হবে। আর এর আগেই অনেক সংস্কার প্রস্তাব ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর হয়ে যাচ্ছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, এই সনদের চূড়ান্ত কপি প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষরসহ কমিশনের সব সদস্য এবং রাজনৈতিক নেতাদের স্বাক্ষরে প্রকাশিত হবে। এটি জাতির সামনে ওয়েবসাইট ও গণমাধ্যমে উন্মুক্ত থাকবে। এরপর কোনো রাজনৈতিক দল কি সাহস করবে একে ভাঙার? তাহলে কী বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে, সেই ঝুঁকি কি কোন দল নেবে?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমার তো মনে হয় না, এর চেয়ে বড় বেশি কোনো কনসেনসাস (ঐকমত্য) হতে পারে? এর চেয়ে বড় বেশি কোনো মেমো অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (সমঝোতা স্মারক) হতে পারে। এর চেয়ে বড় কোনো সোশ্যাল অ্যাগ্রিমেন্ট (সামাজিক চুক্তি) হতে পারে না। অর্থাৎ জাতীয় ঐকমত্যকে তিনি একটি ‘সামাজিক চুক্তি’ হিসাবে উল্লেখ করেন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘এই চুক্তি শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নয়। এটি পুরো জাতির সঙ্গে, জনগণের সঙ্গে, একটি ঐক্যমূলক প্রতিশ্রুতি।
তার মতে, ৬টি সংস্কার কমিশনের ৮২৬টি সংস্কারের সুপারিশের মধ্যে ৬৫৯টিতে একমত পোষণ করেছি। মাত্র ৫১টিতে বিএনপি একমত হয়নি। আর বাকি ১১৬টিতে দ্বিমত পোষণ করেছি। তারপরও বলবে, বিএনপি সংস্কার চায় না। সেটা জাতি দেখেছে।
Leave a Reply