শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় ডিউটি অফিসারের কক্ষে ঢুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় জাজিরা থানার এএসআই (নিরস্ত্র) আতাউর রহমান এ মামলা করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ইমরান মাদবর ও নির্জন মাদবর।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- স্বপ্নীল মাদবর, রিয়াদ মোল্যা, রিহাদ মোল্যা, বাধন মাদবর, রাহাত মাদবর। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) আলমগীর হোসেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে অভিযুক্তরা সরকারি ব্যবহৃত অস্ত্র ও ওয়াকিটকি প্রদর্শন করে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে তারা জাজিরা থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে প্রবেশ করে একজন আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয় এবং কয়েকজনকে মারধর করে আহত করা হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শরীয়তপুরের সাবেক আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, “বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, সেখানে গিয়ে দেখেছি- যারা পরিচয় দিয়েছে, তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা নয়।
পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দোষীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।