
সিরাজগন্জের সলঙ্গায় সাংবাদিক পরিবারের বসতবাড়ী জোর করে বেদখলের চেষ্টা চালায় ভুমিদস্যু মর্তুজা ও গোলাম মোস্তফা ওরফে লেংড়া গোলাম গং। থানায় সাধারণ ডায়রী করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে রানীনগর গ্রামের সাংবাদিক পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একই গ্রামের সন্ত্রাসীরা গোলাম মর্তুজা ও গোলাম মোস্তফা ওরফে লেংড়া গোলাম গং কুরুচিপুর্ণ মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। ঐ বিষয়ে সলঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
এর আগে গত ০৩ (তিন) ডিসেম্বর বসতবাড়ী কিছু অংশ বে-দখলের চেষ্টায় সলঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী এবং কিছু অংশ বাড়ীর পালান দখল করায় ০৮ডিসেম্বর একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন সাঈম সরকার। যা তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন এএসআই রফিক ও মহিদুল ইসলাম।
দৈনিক গণমুক্তির স্টাফ রির্পোটার সাঈম সরকার জানায়, আমার গ্রামে বাড়ীতে একই গ্রামের মৃত-আব্দুল মজিদ সরকারের ভুমিদস্যু ও সন্ত্রাস প্রকৃতির এবং বিকৃত মস্তিষ্কের ৪ সন্তান আমাদের বসতবাড়ী বে-দখলের চেষ্টায় উম্মাদ ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।আমাকে হেয় করতে আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপুর্ণ মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়,আমার ১০ বছরের শিশু কন্যা ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রতিদিন বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি ও আজে-বাজে কথা বলে আসছে গোলাম মর্তুজা ও লেংড়া গোলাম গং। গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধা অনুঃ ৬.০০টায় বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ পুর্বক বিভিন্ন ভয়ভিতি হুমকী প্রদান করায় আমার মেয়ে ও স্ত্রী ভয়ে ঘর থেকে বাহীর হতে পারছে না। তাদের ভয়ে আমার কন্যার ফাইনাল পরিক্ষা চলা অবস্থায় পরিক্ষা দিতে যেতে পারে নাই। তিনি আরো বলেন যে,আমার বাবা ইন্তেকাল করার পরে দীর্ঘদিন যাবৎ আমার বাবার ক্রয়কৃত সম্পতি জোর জুলুমে দখলের চেষ্টা করে আসছিলো। তার-ই ধারাবাহিকতায় গত ২০১৩ সালে হত্যার উদেশ্য দেশিও অস্ত্র স্বস্ত্র সুসজ্জিত হয়ে এসে আমাদের স্বপরিবারের উপর আচমকা হামলা চালায় এবং পরিবারের সবাই আহত হয়। ঐসময় ৩২৬ধারাঃসহ বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা দায়ের করলে সেই মামলা ১৫লাখ টাকার বিনিময়ে স্বাক্ষী প্রমান ছাড়াই একতরফা রায়ে তারা খালাস পায়। পরে জমিজমা নিয়ে একটি মামলা দায়ের করলে মহামান্য আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেন। সেই রায় অমান্য করে উচ্চ আদালতে রিবিশন মামলা দায়ের করে।সেখানেও আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন আদালত। এমনকি, স্থানীয় সরকার ইউপি চেয়ারম্যান এর গ্রাম্য আদালতেও আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। যা ক্রয় সুত্রে,১৯৯২সালে হতে নামজারি ও ২০২৮ সাল পর্যন্ত খাজনা-খারিজ সম্পন্ন পরিশোধ রহিয়াছে। পুরুষ শূন্য ফাকা বাড়ীতে আবারও কিছু অংশ দখল করার চেষ্টায় ২ট্রাক মাটি ভরাট করেছে এবং সেখানে খড়ের পালা দিয়েছে। খবর পেয়ে আমি বাড়ীতে গিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করি। পুলিশ বাড়ীতে তদন্তে এসে ফিরে যাওয়ার পর হতে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপুর্ণ মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে এবং আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনায় দা, ছুরি ও লাঠিসোটা নিয়ে বের হয় গোলাম মর্তুজা ও লেংড়া গোলামসহ ওরা ৪ (চার) ভাই। সাথে গোলাম মোস্তফা ওরফে লেংড়া গোলামের স্ত্রী ও মর্তুজার স্ত্রীসহ ৭/৮জন। আমি নিজেকে বাচাতে দৌড়ে সরে যেতে পারলেও আমার অসহায় পরিবারের উপর চালাচ্ছে অমানুষিক নির্যাতন। এবিষয়ে গত ০৮ ডিসেম্বর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে আমার কর্মস্থল ঢাকার আশুলিয়ায় ফিরে আসি। সলঙ্গা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধায় আমার মুঠোফোনে জানায় ১০ ডিসেম্বর গোলাম মর্তুজা গং বাদি হয়ে আমার বিরুদ্ধে সলঙ্গা থানায় একটি কাউন্টার অভিযোগ দায়ের করেছে। সলঙ্গা থানার সহ-উপ পরিদর্শক জানায় প্রসিকিউশন মামলাটি ৪ দিন আগে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে অভিযোগ তদন্তকারী উপ পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম বলেন,৮ডিসেম্বর সাঈম সরকার বাদি হয়ে করা অভিযোগ তদন্ত চলছে
© ২০২০-২০২৫ তরঙ্গ টিভি, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।