গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় পুকুর থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
পরে তার পকেটে থাকা গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটির কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র দেখে পরিচয় মেলে। নিহত যুবকের নাম সাজু মিয়া, পিতা দুলাল মিয়া, মাতা রিক্তা বেগম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই যুবক সাঘাটা থানায় প্রবেশ করে কর্তব্যরত এএসআই মহসিনকে ছুরিকাঘাত করে রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে আটকাতে গেলে সে দৌড়ে সাঘাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে ঝাঁপ দেয়। রাতভর খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মরদেহটি উদ্ধার করে।
সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম জানান, যুবকটি সাতার না জানার কারণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তবে কেন সে থানায় গিয়ে এমন হামলা চালালো, একা ছিল না অন্য কোনো চক্রান্ত, এসব বিষয় তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম ও গাইবান্ধা পুলিশ সুপার নিশাত এ্যাঞ্জেলা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রহস্যজনক এই ঘটনায় থানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
Leave a Reply