তিনি মাত্র ১০ শতাংশ ‘নাল শ্রেণির’ জমির নামজারি করতে গিয়ে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন, অথচ সরকারি কাগজ অনুযায়ী এ জন্য নির্ধারিত ফি মাত্র ২ টাকা কোর্ট ফি।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের হাতে পৌঁছানো সরকারি নামজারি কাগজের একটি সত্যায়িত কপি (খতিয়ান) থেকে জানা যায়, সিংগাইর ভূমি অফিস থেকে যে খতিয়ান ইস্যু করা হয়েছে তাতে মাত্র দুই টাকার কোর্ট ফি দেখানো হয়েছে, এবং জমির মালিকানা হিসাবে মমতাজ বেগমের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
ভুক্তভোগী মমতাজ বেগম জানান,> “আমি একজন সাধারণ গৃহবধূ। ভূমি অফিসে গেলে নানা অজুহাতে আমার নামজারির ফাইল আটকে রাখা হয়। পরে অফিসের লোকজন বলে, ‘৩০ হাজার টাকা না দিলে নাম হবে না’। নিরুপায় হয়ে টাকা দিয়ে কাজ করাই।”
এ অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের অধীন নাহিদ ফারহানার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।সংক্ষিপ্ত তথ্য: নাম: মমতাজ বেগম, মৌজা: কামুরা,ইউনিয়ন: ধল্লা,উপজেলা: সিংগাইর,জেলা: মানিকগঞ্জ,জমির শ্রেণি: নাল,পরিমাণ: ১০ শতাংশ,সরকারি কোর্ট ফি: ২ টাকা,ঘুষ দাবি: ৩০,০০০ টাকা,জনগণের দাবি:
স্থানীয়রা দুর্নীতির এই চিত্র দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ভূমি অফিসে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি, অডিট এবং নিয়মিত প্রশাসনিক মনিটরিং-এর দাবি জানান তারা।
নামজারির খতিয়ান (সি.এস./আর.এস. খতিয়ান কপি), যা মমতাজ বেগমের নামে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার কামুরা মৌজার একটি জমির কাগজপত্র। এটি সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র ২ টাকা কোর্ট ফি দিয়ে ইস্যু করা হয়েছে — যা প্রমাণ করে যে, সরকারি ফি নামমাত্র, এবং অধিক অর্থ নেওয়ার কোনো বৈধতা নেই।
Leave a Reply