ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের ওপর জমা হওয়া আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এই শুনানি শুরু হয়েছে। এই কারণে নির্বাচন ভবনে অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
আজ কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের ১৮টি আসনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব আসনের ওপর ৮১১টি দাবি-আপত্তির আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা পড়েছে। এর মধ্যে খসড়া সীমানা আসনের বিপক্ষে বা আপত্তি জানিয়ে ৪৩১টি আর পক্ষে ৩৮০টি আবেদন রয়েছে। শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে অন্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত থাকবেন। শুনানি উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, শুধু কুমিল্লা-১ আসন থেকেই আবেদন পড়েছে ৩৯৭টি। এছাড়া কুমিল্লা-২ আসনে ১২৮টি, কুমিল্লা-৬ আসনে ৮টি, কুমিল্লা-৯ আসনে ২২টি, কুমিল্লা-১০ আসনে ১০৩টি, কুমিল্লা-১১ আসনে ১টি আবেদন রয়েছে। আজ এসব আবেদনের শুনানি হবে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ৫টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ১২৪টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে ২টি, চাঁদপুর-২ আসনে ৬টি, চাঁদপুর-৩ আসনে ১টি, ফেনী-৩ আসনে ১টি, নোয়াখালী-১ ও ২ আসনে ২টি, নোয়াখালী-৪ আসনে ৭টি, নোয়াখালী-৫ আসনে ১টি, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ২টি ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে ২টি দাবি-আপত্তির আবেদন ইসিতে জমা পড়েছে।
সীমানা পুনঃনির্ধারণ খসড়া অনুযায়ী, কুমিল্লা-১ আসন বর্তমানে দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলা নিয়ে রয়েছে। খসড়ায় দাউদকান্দি ও মেঘনা উপজেলা নিয়ে এ আসনের সীমানা প্রস্তাব করা হয়েছে। আর কুমিল্লা-২ আসন বর্তমানে হোমনা ও মেঘনা উপজেলা নিয়ে গঠিত। আর খসড়ায় হোমনার সঙ্গে তিতাস উপজেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কুমিল্লা-১০ আসনে নাঙ্গলকোট উপজেলার সঙ্গে কুমিল্লা-৯ আসনের মনোহরগঞ্জ উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে। আর কুমিল্লা-১০ আসনের লালমাই উপজেলাকে লাকসামের সঙ্গে এবং কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাকে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ)-এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এই ইউনিয়নগুলো হলো-বুধন্তী, চান্দুরা ও হরষপুর। নোয়াখালী-১ আসনে সোনাইমুড়ী পৌরসভা ও বজরা ইউনিয়ন যুক্ত করা হয়েছে এবং নোয়াখালী-২ আসন থেকে বজরা ইউনিয়ন বাদ দেওয়া হয়েছে। আর নোয়াখালী-৫ সদর উপজেলার দুটি ইউনিয়ন আশ্বদিয়া ও নেয়াজপুর যুক্ত করা হয়েছে। এসব আসন আগের মতো বহাল রাখতেই বেশির ভাগ আবেদন পড়েছে বলে জানা গেছে।
ইসি জানিয়েছে, আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত সীমানা পুনঃনির্ধারণের ওপর শুনানি চলবে।