1. info@www.tarangotv.com : TV :
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৬ অপরাহ্ন

স্বর্ণের লোভে মামী ও মামাতো বোনেকে গলা কেটে হত্যা করে পারভেজ

জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গৃহবধূ জুলেখা বেগম (৫৫) ও তার মেয়ে তানহা আক্তার মীমকে (১৯) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মূলহোতা গ্রেপ্তার হয়েছে। ঘাতক পারভেজ হোসেন নিহত মীমের মামাতো ভাই।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আকতার হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, টাকার অভাবে মামার বাসা থেকে স্বর্ণ চুরি করতে গিয়ে সে তার মামী ও মামাতো বোনকে গলা কেটে হত্যা করে। তার কাছ থেকে ৬ ভরি ৪ আনা ও তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুটি দোকান থেকে ১ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার পারভেজ রামগঞ্জ পৌরসভার সোনাপুর মহাদের বাড়ির আব্দুল করিমের ছেলে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, ঘাতক পারভেজ দুই মাস আগে সৌদি আরব থেকে লক্ষ্মীপুরে আসে। এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের চাপ ও তার ব্যাংক হিসেবে থাকা টাকা তুলতে পারছিল না সে। সে তার মামার বাসা থেকে স্বর্ণালংকার চুরি করার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন ৯ অক্টোবর বিকেলে সে বাজার থেকে একটি চাকু কিনে আমড়া ও আপেল নিয়ে তার মামার বাড়িতে যায়। পরে সে তার মামী ও মামাতো বোনকে আমড়া ও আপেল খেতে দেয়। মামাতো বোন মীমের সঙ্গে বাসার দ্বিতীয় তলায় যায়। সেখানে মীম তার হাতে ছুরি দেখে চিৎকার দিলে তাকে গলা কেটে হত্যা করে।

পরে তার মামী জুলেখাকেও একইভাবে গলা কেটে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।

অন্যদিকে  ঘটনার ৭ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে রামগঞ্জ থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পারভেজকে রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কাছ থেকে ৬ ভরি ৪ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। তার তথ্য অনুযায়ী লক্ষ্মীপুরে দুটি দোকানে বিক্রি করা ১ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

এসপি বলেন, হত্যা মামলায় পারভেজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পারভেজ একাই পর্যায়ক্রমে তার মামী ও মামাতো বোনকে হত্যা করেছে।

প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর রামগঞ্জ উপজেলায় উত্তর চন্ডীপুর গ্রামে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা ও মেয়ে কলেজছাত্রী মীমকে হত্যা করে। পরে ঘাতক পারভেজ বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন ব্যবসায়ী মিজান বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট