1. tv@tarangotv.com : তরঙ্গ টিভি : তরঙ্গ টিভি
  2. info@www.tarangotv.com : তরঙ্গ টিভি :
সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

হাতিয়ায় ফের বিএনপির দুইপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় পূর্ব ঘটনার জের ধরে বিএনপির দুই গ্রুপের মাঝে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন গুরুতর আহত হয়। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ৯টার সময় উপজেলার তমরোদ্দি বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সদর হাসপাতালে প্রেরণকৃত আহতারা হলেন, তমরদ্দি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো. রুবেল, বিএনপির সমর্থক ও মাহাবুবের রহমান শামীমের অনুসারী মো. সোহেল, সাহেদ, পয়েল ও তমরদ্দি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো. রনি।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত আহতরা হলেন, তমরদ্দি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো। রাফুল, তমরদ্দি ইউনিয়ন তাঁতি দলের সভাপতি মো. সাহেদ, তমরদ্দি ইউনিয়ন কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাদ, বিএনপির সমর্থক ও মাহাবুবের রহমান শামীমের অনুসারী রায়হান।

জানা যায়, গত ১০ জুন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের ঈদ পুনর্মিলনী সমাবেশে যাওয়ার পথে হাতিয়া উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিমের অনুসারীদের হামলা ও উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ৩৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২৫ জনকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে গুরুতর আহত চারজনকে সেখান থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ৯টার সময় পূর্বের ঘটনার জের ধরে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম সমর্থিত অনুসারী হাতিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবীর  তমরুদ্দি ইউনিয়ন এলাকায় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের অনুসারীদের ওপর ধারালো দা, ছুরি, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে ১০ জনকে আহত করে। আহত সবাইকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) হাতিয়া প্রতিনিধি মো. ইউসুফ রেজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, তমরদ্দি ইউনিয়নে সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের ঝনঝনানি শুধু আইনশৃঙ্খলার জন্যই নয়, পুরো হাতিয়ার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অশনিসংকেত। জনগণের নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশকে যারা হুমকির মুখে ফেলছে, তারা মূলত সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার হওয়া জরুরি।

জনগণকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব সন্ত্রাসী ও অস্ত্রবাজদের রুখে দিতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবার আগে এই সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করা দরকার, নইলে হাতিয়ার ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারের দিকে চলে যাবে।

হামলায় আহত তাঁতিদলের তমরদ্দি ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহেদ বলেন, পূর্বের ঘটনার জের ধরে অস্ত্রধারী হামলা চালায়। এ সময় আমিসহ আমাদের প্রায় ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন। হামলাকারীরা হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের অনুসারী। আমরা ন্যায় বিচার কামনা করছি।

হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, হাতিয়া উপজেলায় কিছু বহিরাগত লোকজন রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে আমাদের ঘাটের কয়েকজন শ্রমিকের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হন। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের ওপর কোনো হামলা চালানো হয়নি।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের খবর শুনেছি। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ গেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আমাদের কাছে এখনো কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ দেননি।

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন
© তরঙ্গ টিভি
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট