প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
ঢাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ‘অব্যবস্থাপনা’, কমছে শিক্ষার্থী
দুপুর ১২টা বাজতে কিছুটা বাকি। পুরান ঢাকার মনেশ্বর রোডে অবস্থিত মনেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকে কয়েকটি মেয়েশিশু অপেক্ষা করছে; সঙ্গে দু-একজন অভিভাবক। ১২টায় ক্লাস শুরু হবে। তবে এই শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়। আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হাজারীবাগ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তারা। তাদের বিদ্যালয়ে ‘দৃষ্টিনন্দন ভবন’ হচ্ছে। এ জন্য তাদের শিক্ষা কার্যক্রম মনেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।
একজন অভিভাবক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। আগে বাসা থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বিদ্যালয়ে পৌঁছে যেতেন। কিন্তু এখন বেশ কিছুটা সময় লাগে। এমন সময় আরেকজন অভিভাবক রিকশায় করে সন্তানকে নিয়ে এলেন। জানালেন, ২০ টাকা ভাড়া দিতে হলো, আগে এটা লাগত না।
বণিক বার্তা
ভারত থেকে আকস্মিক বিদ্যুৎ বন্ধ হলে প্রস্তুত কি বিপিডিবি
সম্প্রতি পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুই দেশের এ টানাপড়েন বিদ্যুৎ বাণিজ্যেও প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই যদি হয় অর্থাৎ প্রতিবেশী দেশটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে তা মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) প্রস্তুতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা।
দেশ রূপান্তর
অস্থিরতা কাটাতেই পদত্যাগের কথা
চলমান অস্থির পরিবেশ অনুকূলে নিয়ে আসা এবং তার প্রতি সবার আনুগত্য অটুট রাখতেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। প্রধান উপদেষ্টা চান, আগের মতোই তার প্রতি সবার আনুগত্য থাকুক। ৫ আগস্টের পরের পরিস্থিতিতে যেভাবে আনুগত্যের প্রকাশ ঘটেছে, দ্বিতীয়বারের মতো সেটি প্রকাশ্যে আসুক দেখতে চান তিনি। এ কারণেই পদত্যাগের কথা উচ্চারণ করেন প্রধান উপদেষ্টা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মনে করেন, মতানৈক্যের রাজনীতি ভবিষ্যতে সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারে। সরকারঘনিষ্ঠ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র এ কথা জানিয়েছে। সূত্র এ কথাও জানিয়েছে, পদত্যাগের কথা তিনি সিরিয়াসলি বলেননি।
দেশ রূপান্তর
রাবির ১২ স্থাপনার নাম বদল নিয়ে প্রশ্ন-সমালোচনা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ১২টি স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র সমালোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৯তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, যেখানে অনেকে এ নাম পরিবর্তনকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের প্রতি অসম্মান হিসেবে দেখছেন।
কালের কণ্ঠ
অনিয়মের কবলে পড়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের উপবৃত্তি। এই অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস নগদসহ কিছু শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তা। এমনকি মানা হচ্ছে না উপবৃত্তি দেওয়ার শর্ত। ফলে উপবৃত্তির মাধ্যমে সরকারের যে লক্ষ্য অর্জন করার কথা, তা হচ্ছে না।
অনেক সময় উপবৃত্তির সুফলভোগী শিক্ষার্থীদের তথ্য কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
সূত্র জানায়, বিগত সরকারের প্রভাব খাটিয়ে ভাতা, প্রণোদনা, উপবৃত্তি বিতরণে একচ্ছত্র আধিপত্য পেয়েছিল নগদ।
যুগান্তর
সম্ভাবনাময় এসএমই খাত পিছিয়ে পড়ছে
দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) অত্যন্ত শক্তিশালী স্তম্ভ। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আয়বৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাস এবং অর্থনৈতিক বিকাশে এর বড় ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু ব্যাপক সম্ভাবনাময় এ খাত প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে পিছিয়ে পড়ছে। বর্তমানে দেশে এসএমই কোম্পানির সংখ্যা ১ কোটি ১৮ লাখ। এ খাতে কর্মসংস্থান হয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষের। অর্থাৎ শিল্প খাতে কর্মসংস্থানের ৮৭ শতাংশই এ খাতে।
ইত্তেফাক
৩৫৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিল ১৭ ছাপাখানা!
ইন্সপেকশন এজেন্ট বা মান যাচাইকারী কোম্পানিগুলোকে ম্যানেজ করে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই নিম্নমানের কাগজে ছাপিয়ে ৩৫৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক শ্রেণির ছাপাখানা। এ পর্যন্ত এমন ১৭টি ছাপাখানাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেগুলোর মালিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবি। তাদের বিল আটকে দেওয়াসহ কালো তালিকাভুক্ত করার চিন্তাভাবনা চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র ইত্তেফাককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বণিক বার্তা
দুই বছরের ব্যবধানে ঢাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমেছে ৬৪ শতাংশ
রাজধানীর আহমদবাগ এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী সামিরা সুলতানা। আহমদবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই তার বাসা। তবে দুই সন্তানের একজনকেও তিনি এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠাননি। তাদের পড়াচ্ছেন একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। কারণটা জানতে চাইলে সামিরা সুলতানা বলেন, ‘কর্মজীবী মায়েদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তার কর্মক্ষেত্রের সময়ের সঙ্গে সন্তানের স্কুলের সময় সমন্বয় করা। আমি যে কিন্ডারগার্টেনে তাদের পড়াচ্ছি সেখানে স্কুলের গাড়ি এবং ডে কেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই সন্তানদের স্কুল থেকে আনা-নেয়ার বিষয়ে বাড়তি চিন্তা করতে হয় না। সরকারি বিদ্যালয়ে এ ধরনের সুবিধা নেই। এছাড়া কিন্ডারগার্টেনের কারিকুলাম সময়োপযোগী এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি তারা বেশি যত্নশীল। এসব কারণেই আমি সন্তানদের জন্য কিন্ডারগার্টেনকে বেছে নিয়েছি।
সমকাল
আম উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। শুধু পরিমাণের দিক থেকে দেশে ফলের রাজা হয়েছে, তা নয়। অন্তত ছয়টি জেলার প্রধান বাণিজ্যিক কৃষিপণ্য এই আম। ২২টি জেলায় এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আমের চাষ হচ্ছে। এত উৎপাদনের পরও রপ্তানির তলানিতে বাংলাদেশ। রপ্তানিকারকরা বলছেন, উড়োজাহাজের ভাড়া অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণে রপ্তানি কমেছে। এত বেশি দামে আম কিনতে চাচ্ছেন না বাইরের ক্রেতারা।
এ ছাড়া আম রপ্তানির ক্ষেত্রে অন্যতম সমস্যা হচ্ছে রপ্তানিযোগ্য উন্নতজাতের আমের অভাব। স্থানীয় আমের জাতগুলোর জীবনকাল কম, দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। মানসম্মত কৃষি পদ্ধতির চর্চা, আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিংয়ের অভাব, নতুন বাজার সৃষ্টিতে সমন্বয়হীনতা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি আমের ব্র্যান্ডিং সংকটের কারণে রপ্তানিতে সুফল আসেনি। এ অবস্থায় সরকার আম রপ্তানি বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি নতুন বাজার খুঁজছে। গুণগত মান ঠিক রেখে আম উৎপাদন করে রপ্তানিতে এবার রেকর্ড গড়তে চায় কৃষি মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আগামী সপ্তাহে চীনে ৫০ হাজার টন আম রপ্তানি হবে।
কালবেলা
বাংলাদেশের দেশীয় খেলনা শিল্প এখন আর শুধু শিশুর বিনোদনের খাত নয়, এটি রূপ নিয়েছে একটি সম্ভাবনাময় শিল্প খাতে। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে যেমন দেশীয় খেলনার চাহিদা বাড়ছে, তেমনি আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশি খেলনার জন্য তৈরি হচ্ছে বিস্তৃত সুযোগ।
একসময় দেশের খেলনার বাজারে চীনের একচেটিয়া আধিপত্য থাকলেও দৃশ্যপট বদলেছে। আনুমানিক ৭ হাজার কোটি টাকার বাজারের মধ্যে দেশীয় নির্মাতাদের দখলে রয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকার বাজার। রাজধানী ঢাকার আশপাশে গড়ে ওঠা ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৪৭টি কারখানা এখন দেশের চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ পূরণ করছে। এর মধ্যে অধিকাংশই কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, ইসলামবাগ, চকবাজার, গাজীপুর, কেরানীগঞ্জ, পুরান ঢাকা, ইপিজেড ও ইজেড এলাকায়।
বর্তমানে দেশেই এক হাজারেরও বেশি ধরনের খেলনা উৎপাদন হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে— শিক্ষামূলক খেলনা, প্রাণীর রঙিন মডেল, প্যাডেল কার, ট্রাইসাইকেল, রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি, বৈদ্যুতিক পুতুল, প্লাস্টিক দোলনা ও দেয়াল। নতুন সংযোজিত খেলনার মধ্যে রয়েছে—কিবোর্ড, গিটার, ড্রামস, মিনি গাড়ি, অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রতিরূপ।
Leave a Reply