তবে, পরে ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীর নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর। এতে বাদ পড়ে ২৬৭ জন প্রার্থী। বাদ পড়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, ৪০ জন প্রার্থী স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন এবং ২২৭ জনকে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সম্প্রতি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হয়, বাদ পড়া ওই ২৬৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৯ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই দাবিটি সঠিক নয়।
রিউমর স্ক্যানার নামে প্ল্যাটফর্মটি জানিয়েছে, ৯ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপনটি মূলত ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে নিয়োগপ্রাপ্ত ১ হাজার ৮৯৬ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন বিভাগে পদায়ন করার জন্য জারি করা হয়েছিল। ওই প্রজ্ঞাপনে নতুন করে বাদ পড়া ২৬৭ জনের কারো নাম নেই।
রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপনে যেসব কর্মকর্তাদের নাম ও মেধাক্রম উল্লেখ করা হয়েছে, তা ৩০ ডিসেম্বরের নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে এবং উভয় তালিকায় একই নাম রয়েছে। এতে স্পষ্ট হয় যে, বাদ পড়া ২৬৭ জনকে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাদ পড়া ২৬৭ জনের মধ্যে যারা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ছিলেন, তারা পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জনের ক্ষেত্রে কোনো পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই।
Leave a Reply