রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার চার ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও হাসপাতালে আহতদের আনা-নেওয়া চলছে। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার পাশে বিধ্বস্ত হওয়া এই বিমান দুর্ঘটনায় বহু মানুষ দগ্ধ হয়েছেন, যাদের অনেকে এখনো রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সরেজমিনে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, সামনের চত্বরে অ্যাম্বুলেন্সের দীর্ঘ সারি। কেউ স্ট্রেচারে করে নিয়ে আসছেন দগ্ধ স্বজনকে, কেউ হাসপাতালের করিডরে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অনেককে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অমল কান্তি নাথ বলেন, দগ্ধ অবস্থায় অন্তত ৩৫ জনকে আমরা ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে রেফার করেছি। যারা এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের সবার শরীরেই পোড়ার চিহ্ন রয়েছে। অনেকের হাত-পা পুড়েছে, কারও শ্বাসনালিতেও ধোঁয়ার প্রভাব পড়েছে।
তিনি জানান, গুরুতরদের দ্রুত রেফার করার কারণে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়েছে।
অন্যদিকে, বিমান বিধ্বস্তের খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাজারো উৎসুক মানুষ ভিড় জমান কলেজের আশপাশে। ফলে বারবার ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলছেন, বারবার সবাইকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও ভিড় সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।
উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভেতর থেকে আহতদের বের করার পর হাসপাতালে নিতে ভিড়ের কারণে ব্যাঘাত ঘটছে। মানুষ সহযোগিতা না করলে আহতদের দ্রুত সরানো কঠিন হয়ে যাবে।