চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীন এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ হাজার ১৬৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একমাত্র ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার শূন্য। বিদ্যালয়টি থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় মাত্র দুজন শিক্ষার্থী। ফল প্রকাশের পর বিষয়টি এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টিকে ‘দুঃখজনক ও লজ্জাজনক’ বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি শওকত হোসেন সিকদার বলেন, বিদ্যালয়টি ২৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তবে এমপিওভুক্ত হয়নি। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষে ফরম পূরণের খরচ বহন করা সম্ভব হয়নি। তাই আমি দিয়েছি। পরীক্ষার্থীরা পাস না করায় কষ্ট পেয়েছি। তবে এখানকার শিক্ষার্থীরা অনেকেই অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত।
তিনি বলেন, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে এবং ৭ জন শিক্ষক আছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, কেউ পাস না করাটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমি কয়েকবার বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। কয়েকজন শিক্ষার্থী দেখলেও সেখানে তেমন শিক্ষক নেই। প্রায় ৭০ বছর বয়সী একজন প্রধান শিক্ষক দায়িত্বে আছেন। দুজন পিয়ন ও কর্মচারী রয়েছেন। তবে সাতজন শিক্ষক রয়েছেন— এমন তথ্য সঠিক নয়। সম্ভবত এমপিও আবেদন করার জন্য কাগজে-কলমে সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা নেই।
জানা গেছে, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ঘোষিত ফলাফলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার ৭২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৪৩ শিক্ষার্থী।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের এবার ২১৯ কেন্দ্রে ১ হাজার ১৬৪ স্কুলের মোট ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৮৮ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ৭২৫ এবং ছাত্র সংখ্যা ছিল ৬১ হাজার ৬৬৩। এবার ছাত্রীর পাসের হার ৭২ দশমিক ১৯ এবং ছাত্রের পাসের হার ৭১ দশমিক ৯৩। এছাড়া ৬ হাজার ৩৫৩ ছাত্রী এবং ৫ হাজার ৪৯০ ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে।
Leave a Reply