একদিনেই খুব বড় ব্যবধান বোঝার সাধ্য নেই। তবে ব্রাজিল ইকুয়েডরের বিপক্ষে যেমন ম্যাচ উপহার দিয়েছে, তাতে ভক্তদের খুশি হওয়ারও খুব বেশি কিছু নেই সেটা সত্য। বরং ইকুয়েডরের মাঠ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে আসতে পারাটাই হয়ত ব্রাজিলের জন্য বড় কিছু ছিল। স্বাগতিকরা ফিনিশিংয়ে দুর্বল না হলে আনচেলত্তির শুরুটা হতে পারত হার দিয়ে।
তবু শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ড্র হয়েছে গোলশূন্য অবস্থায়। তাতে খানিক স্বস্তিও অন্তত আছে ব্রাজিলের জন্য। অন্তত হারতে তো হয়নি। ইকুয়েডরের বিপক্ষে হতাশাজনক ড্রয়ের পর দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১৫ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ইকুয়েডর আছে দুই নম্বরে।
ব্রাজিলের গণমাধ্যমগুলোতে ম্যাচের আগে থেকেই ভেসে বেড়াচ্ছিল একাদশে থাকা নামগুলো। সেটাই হয়েছে। প্রত্যাশিত আর তারকাখচিত সেই নামগুলো কাজে আসেনি। হুটহাট কিছু আক্রমণ তৈরি করলেও, সেটা ঘুরপাক খেছে মাঝমাঠ পর্যন্তই। পুরো ম্যাচে ব্রাজিলের কেবল ৩ বার গোলে শট নেয়ার পরিসংখ্যান সেই তথ্যই দেয়।
ব্রাজিলের প্রায় পুরোটা সময় বল রাখতে হয়েছে নিজেদের অর্ধেই। ৩৭৬টা সফল পাসের মাঝে ২৮৫টি পাসই তারা খেলেছে নিজেদের অর্ধে। ৯১ পাস খেলেছে প্রতিপক্ষের অর্ধে। বিপরীতে ইকুয়েডর ব্রাজিলের অর্ধে গিয়ে খেলেছে ২২২ পাস। দুই দলের পার্থক্যটা এখানেই অনেক বেশি স্পষ্ট।
আলাদা করে বলতে হয় ইকুয়েডরের ব্যর্থতার কথাও। বক্সের কাছাকাছি গিয়ে মাঝমাঠে ভালো খেললেও ফিনিশিংয়ে ইকুয়েডর খুব একটা সুবিধা করতে পারছিল না। ৭বার গোলে শট নিয়েও ঘরের মাঠের দর্শকদের আনন্দ উপহার দিতে পারেনি তারা।
ম্যাচের একপর্যায়ে জোড়া বদল আনেন আনচেলত্তি। রিচাার্লিসন ও এস্তেভাওয়ের পরিবর্তে মাঠে নামেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও ম্যাথিউস কুনিয়া। কিন্তু তাতেও খুব একটা পরিবর্তন আসেনি ব্রাজিলের খেলায়। ড্র ম্যাচের পর তাই খেলার ধরণের দিক থেকেও হতাশা উপহার দিয়েছে ব্রাজিল।
Leave a Reply