অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে ফের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাভাষী মুসলিমদের আটক ও বাংলাদেশে পুশব্যাক নিয়ে তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (টুইটার)-এ পোস্ট দিয়ে ওয়াইসি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যালঘু ও দরিদ্র শ্রেণির উপর পরিকল্পিতভাবে নিপীড়ন চালাচ্ছে। এই সরকার শক্তের কাছে দুর্বল, আর দুর্বলের কাছে শক্ত।
ওয়াইসি দাবি করেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাভাষী মুসলিমদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে বেআইনিভাবে আটক করা হচ্ছে। অথচ এদের অধিকাংশই ভারতীয় নাগরিক। তিনি বলেন, এরা নির্মাণকর্মী, সাফাইকর্মী, রাস্তায় আবর্জনা তোলার সঙ্গে যুক্ত। এরা দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। এদের অনেকের পক্ষে পুলিশের অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলা বা আইনি লড়াই চালানো সম্ভব নয়। সেই দুর্বলতাকেই ব্যবহার করছে প্রশাসন।
তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাভাষী মুসলিমদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে বেআইনিভাবে আটক করা হচ্ছে, অথচ এদের অধিকাংশই ভারতীয় নাগরিক। এরা নির্মাণকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, এরা দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। এদের অনেকের পক্ষে পুলিশের অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলা বা আইনি লড়াই চালানো সম্ভব নয়। সেই দুর্বলতাকেই ব্যবহার করছে প্রশাসন।
ওয়াইসি গুরুগ্রামের জেলা শাসকের একটি নির্দেশনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাতে এসওপি অনুসরণের কথা বলা হয়েছে, যা ভাষাভিত্তিক গ্রেপ্তারকে উৎসাহিত করছে।
তিনি বলেন, কেবল কেউ বাংলা ভাষায় কথা বলেন বলেই তাকে গ্রেপ্তার করা যায় না। এটি পুরোপুরি বেআইনি।
সম্প্রতি পুনে পুলিশের অভিযানের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন ওয়াইসি। বুধওয়ার পেঠ এলাকার একটি রেড লাইট জোন থেকে পাঁচ নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, অভিযোগ ছিল তারা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং পরবর্তীতে পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েন।
যদিও পুলিশের দাবি, তারা একটি মানবপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং জাল কাগজপত্র ব্যবহার করেছিলেন। এ ঘটনার পর ওয়াইসি প্রশ্ন তোলেন- বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনার অজুহাতে কীভাবে হাজার হাজার বাংলাভাষী মুসলিম নাগরিককে ‘অবৈধ’ বলা যায়?
ওয়াইসি এই পদক্ষেপকে ‘ব্যাকডোর এনআরসি’ আখ্যা দিয়ে বলেন, বন্দুকের মুখে কাউকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া যায় না।
Leave a Reply