সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের চিকিৎসা সেবা সহজীকরণ এবং চিকিৎসা ব্যয় পরিশোধের প্রক্রিয়ায় যুগোপযোগী পরিবর্তনের দাবিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
স্মারকলিপিতে জানানো হয়, বর্তমানে চিকিৎসা-পরবর্তী অনুদান পেতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ ও অনেক ক্ষেত্রে হয়রানিমূলক। এ কারণে চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে ডিজিটাল ও সহজীকৃত ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে উত্থাপিত মূল প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—
ইউনিক হেলথ আইডি: সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ব্যবহৃত বর্তমান পেশেন্ট আইডি পরিবর্তন করে ইউনিক হেলথ আইডি চালু করা, যাতে চিকিৎসা, ওষুধ, অনুদান ও রোগের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
ই-টিকিট ও অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট: হাসপাতালগুলোতে ভিড় কমাতে অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট ব্যবস্থা চালু।
তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা: প্রয়োজনে কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড সরাসরি অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয় মেটাবে।
বিশেষায়িত চিকিৎসা ব্যবস্থা: গুরুতর অসুস্থ রোগীদের প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে রেফার্ডের ব্যবস্থা।
ওষুধ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা: সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় প্রয়োজনীয় ওষুধ বা পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকলে কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা।
দাফন-অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অনুদান: মৃত্যুর পর দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পরিবর্তে তাৎক্ষণিক পরিবহন সুবিধা ও অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন হলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সহজে ও স্বল্প সময়ে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবে। এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড ও সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সমন্বয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন সংগঠনের মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং সভাপতি মো. বাদিউল কবীর।
Leave a Reply