বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী জানিয়েছেন, তাকে টয়লেটে নিতেও যম টুপি পড়ানো হতো। বাঁধা হতো চোখ-হাত। দীর্ঘ ৮ বছরে ২ হাজার ৯০৮ দিনে মোট প্রায় ৪১ হাজার বার তার চোখ-হাত বাঁধা হয়েছে তার।
বিনা অপরাধে দীর্ঘ ৮ বছর ‘আয়না ঘর’ নামের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে গুম ছিলেন আব্দুল্লাহিল আমান আযমী। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন তিনি মুক্তি পান। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় তিনি বন্দিজীবনের বিভিন্ন লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে আযমী বলেন, বন্দি জীবনে আমাকে যে সেলে রাখা হয়েছিল সেখান থেকে টয়লেটের দূরত্ব ছিল আনুমানিক ৪৫-৫০ কদম দূরে। টয়লেটে যেতে হলে হাতে হাতকড়া পরিয়ে, মোটা কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে, মাথার ওপর থেকে ঘাড় পর্যন্ত যম টুপির মতো কালো মুখোশ পরিয়ে নিয়ে যাওয়া-আসা করতো। পরে অবশ্য আমার অব্যাহত অভিযোগের চাপে মুখোশ পড়ানো বন্ধ করেছিল।
তিনি আরও বলেন, আমি হিসাব করে দেখেছি, ২ হাজার ৯০৮ দিনে (৬৯ হাজার ৭৯৪ ঘণ্টায়) মোট প্রায় ৪১ হাজার বার আমার চোখ-হাত বাঁধা হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে বোধ হয় এই রেকর্ড আর নেই।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে গুমের শিকার হন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আজমের সন্তান আবদুল্লাহিল আমান আযমী। দীর্ঘ ৮ বছর পরে গত ৬ আগস্ট রাতে তিনি আয়নাঘর থেকে মুক্তি পান।
Leave a Reply