পুলিশ পরিচয়ে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহান আলীকে উদ্ধারসহ অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় জেলার দৌলতপুর থানার কান্দিরপাড়া এলাকা থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধারসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. রেজাউল ইসলাম ওরফে হিমেল (৪০), মোছা.সেলি বেগম ওরফে শিলা বেগম (২৮), মো. মুক্তাজুল সরকার (৩৪), মো.মারুফ হাসান (২৫), নূর মোহাম্মদ (৩৫) ও মো. মাহমুদ হাসান (২৬)।
তালেবুর রহমান বলেন, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সকালে খিলগাঁওয়ের নবীনবাগ থেকে শাহান আলীকে রেজাউল ও সেলি বেগমসহ ১০-১৫ জন জোর করে একটি গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তারা স্থানীয়দের কাছে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখান।
পরবর্তীতে একইদিন রাতে একটি মোবাইল নম্বর থেকে শাহান আলীর পুত্রবধূর মোবাইল নম্বরে ফোন করে মুক্তিপণ বাবদ দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়। দাবি করা মুক্তিপণের টাকা না দিলে শাহান আলীকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার শাহান আলীর ভাগনে সোহেল রানার অভিযোগের প্রেক্ষিতে খিলগাঁও থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুততম সময়ে ভুক্তভোগীর অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। পরে শুক্রবার কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় অপহরণকারী রেজাউল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার কান্দিরপাড়া এলাকা থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। পরে অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Leave a Reply