1. info@www.tarangotv.com : তরঙ্গ টিভি :
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন

বিজয় দিবসে জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম (জেএসএফ)বাংলাদেশের শুভেচ্ছা।

হাকিকুল ইসলাম খোকন,বাপসনিউজঃ
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মধ্য দিয়ে জাতি আজ নতুন করে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছে।এমন কথা বলেছেন সংগঠনের লেতা হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন ।খবর আইবিএননিউজ। তিনি আরো বলেছেন,
ছাত্র-জনতার আন্দোলন-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দৃঢ় জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পতিত স্বৈরাচার ও তার প্রভূ ভারত জাতীয় ঐক্যে ফাটল এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ ও অজনপ্রিয় করার জন্য লাগাতার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। জাগ্রত জনতা ও সতর্ক সরকার ইতোমধ্যে অনেকগুলো ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে। ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। এদিকে খেয়াল রেখে স্বাধীনতার লক্ষ্য ও প্রত্যাশা অর্জনে জাতীয়ভাবেই আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, আইনের শাসন, সুবিচারের নিশ্চয়তা ও সুশাসনই কেবল দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে পারে।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন। তার সরকারের পতন ঘটেছে। দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জনগণের আকাক্সক্ষার অনুবর্তী, অন্তর্বর্তী সরকার। দেশ নতুন করে মুক্ত ও স্বাধীন হয়েছে। এই নতুন স্বাধীনতার লক্ষ্য ’৭১-এর স্বাধীনতা থেকে ভিন্ন নয়। এখন একটা সুযোগ এসেছে, এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের। গণতন্ত্রে সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সেই নির্বাচন শেখ হাসিনার স্বৈরাশাসনামলে বিতর্কিত হয়েছিল। পর পর তিনটি নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছিল। এসব নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ভুয়া নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একদলীয় জবরদস্তিমূলক শাসন জনগণের বুকের ওপর চেপে বসেছিল। সুশাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের মতো মৌলিক বিষয়গুলো হারিয়ে গিয়েছিল। রাজনৈতিক বিভক্তি, দুর্নীতি, দুর্বৃত্তাচার স্থায়ী রূপ লাভ করেছিল। দেশ এক ভয়ংকর অবস্থার মধ্যে পতিত হয়েছিল। অর্থনৈতিক মন্দা, রিজার্ভ-ঘাটতি, পণ্যমূল্যের অস্বাভাবিক স্ফীতি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের অভাব, বিনিয়োগশূন্যতা ইত্যাদিতে মানুষের উদ্বেগ ও কষ্টের শেষ ছিল না। এসব সমস্যা ও সংকট নিরসনে যখন সকলের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্তরিক প্রয়াস চালানো দরকার ছিল, তখন শাসক দল ও শ্রেণি হিংসা-বিদ্বেষে মত্ত ছিল এবং লুণ্ঠন ও অর্থপাচারে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হলে, উন্মুক্ত রাজনীতি, গণতন্ত্রের বিকাশ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।

১৬ বছরের বেশি সময় ধরে চলা স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়ে শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকার রাজপথে জন বিস্ফোরণের মধ্যদিয়ে উৎখাত হন। ভিন্নমতাবলম্বীদের উপর নিপীড়ন চালানোর জন্য তার সরকার ক্ষুব্ধ জনতার রাজনৈতিক রোষানলের মুখে পড়লে তিনি ভারতে পালিয়ে যান।

এ বছর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর, বাংলাদেশের নবযাত্রায় জাতি নতুন উদ্যম ও উদ্দীপনা নিয়ে দিনটি পালন করবে। মহান স্বাধীনতা ও বিজয়ের ৫৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। সঙ্গত বিবেচনাতেই আমরা কী পেয়েছি, কী পাইনি, সাদামাঠা হলেও তার একটা হিসাব করা দরকার। একথা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই যে, স্বাধীনতার কিছু লক্ষ্য থাকে, যা আমাদেরও ছিল। স্বশাসন, সুশাসন, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছিল এবং সে সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হয়েছি। জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট ও জনসমর্থিত লক্ষ্যগুলো অর্জিত না হলে এ বিজয়কে সার্বিক অর্থে বিজয় বলে চিহ্নিত করা যায় না।

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২০-২০২৫ তরঙ্গ টিভি,  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।    
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট