নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৮টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) ভোররাতে চরমজিদ ভূঞারহাট বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাজার পাহারাদার মো. জয়নাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, জিরো পয়েন্টের কাইয়ুম মোটর এন্ড পার্টসের দোকানে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে ছুটে এলেও আগুন দ্রুত পুরো দক্ষিণের দোকানগুলোর দিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু এর আগেই আগুনে মার্কেটের হুন্ডা গ্যারেজ, মুদি গোডাউন, ওষুধের দোকান, যমুনা ইলেকট্রিকের অস্থায়ী গুদাম, মা জননী ইলেকট্রনিকসসহ অন্তত ১৮টি দোকান পুড়ে যায়।
আগুনে পুড়ে যাওয়া কাইয়ুম মোটর এন্ড পার্টসের স্বত্বাধিকারী মো. ইমাম উদ্দিন জনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালে আমি ব্যাংকে টিটি করবো মেঘনা গ্রুপের পুষ্টিসহ কয়েকটি পণ্যের জন্যে। তাই দোকানে নগদ ২৪ লাখ টাকা ক্যাশ এনে রেখেছি । হঠাৎ খবর পেলাম আগুন লেগেছে। দোকানের সামনে এসে দেখি আমার সব পুড়ে ছাই। আমার বৃহত্তর মোটর পার্টস্ দোকানটি সুবর্ণচরের দক্ষিণ অঞ্চলের বড় দোকান। প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো মালামাল দোকানে ভর্তি ছিল। আমি মালগুলো পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে থাকি। আমি শেষ হয়ে গেলাম।
অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হওয়া মা জননী ইলেকট্রনিকস এন্ড পার্টস দোকানের স্বত্বাধিকারী কাজল ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী পাইকারি ও খুচরা মালামাল বিক্রি করে। অনেকগুলো দোকান পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আমাদের কোটি কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমাদের সব ব্যবসায়ীর স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. নুর নবী ঢাকা পোস্টকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নেভানো জন্যে ঘটনাস্থলে চলে আসে এবং কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণের সহায়তা ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আমাদের জানামতে অগ্নিকাণ্ডে ১৮টি দোকান পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।
Leave a Reply